চিন্তন নিউজ:৩১শে আগস্ট,২০২০:- মিঠু ভট্টাচার্য্য—-১৯৫৯ সালের ৩১ শে আগস্ট বাংলার আন্দোলনে এক চিরস্মরণীয় দিন। কলকাতার রাজপথে খাদ্যের দাবিতে লাখো লাখো নিরীহ নিরস্ত্র মানুষ যখন মুখরিত হয়েছিল, তখন তাদের ওপর তৎকালীন সরকারের মদদপুষ্ট পুলিশ ঐ নিরীহ নিরস্ত্র মানুষদের ওপর অমানবিক লাঠি চালিয়ে ছিল। সেই দিন লাঠির আঘাতে ৮০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। আজ নতুন করে দেশজুড়ে খাদ্য সংকট। তাই এই ৬১তম খাদ্য আন্দোলন দিবসে সাঁকরাইল উত্তর এরিয়া কমিটি বিভিন্ন শাখায় শপথ গ্রহণ করা হয়েছে খাদ্যের অভাবে একটি প্রানও যাবে না। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
তপোলগ্না চক্রবর্তী জানান—-সকাল সাড়ে ছটায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে বি গার্ডেন এরিয়া কমিটির কোলে বাজার শাখায় খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং এই চরম দুর্দিনে কোন ভাবেই একটি প্রানেরও খাদ্যের অভাবে মৃত্যু না হয় এই দাবি রাখা হয় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য ।
শহীদেররক্ত,হবেনাকো ব্যার্থ
আজ বামপন্থীদের খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস বানচাল করার উদ্দেশ্য প্রণোদিত লকডাউন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য জুড়ে সর্বত্র শহীদ দিবস কর্মসূচি পালিত হলো। জনগণের কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব ও বিধি মেনে আমাদের এই অনুষ্ঠান পালিত হয়।
উপস্থিত সকল সাথীকে জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন।
বি গার্ডেন এরিয়া কমিটির ৩ নং শাখার শহীদ স্মরণ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ।
মৌসুমী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাওড়া শিবপুরের ব্যাতাইতলায় ৮০জন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।অঙ্গীকার বদ্ধ হয় আর একটা খাদ্য আন্দোলন পরিস্থিতি রোখার জন্য ।
শালিমার ওয়ার্কসে আজ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় বলে তপন চক্রবর্তী জানান।
শেখ জিসান জানান খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবসে কাটলিয়া শাখা ও মাকড়দহ অঞ্চলে পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদান।পতাকা উত্তোলন করেন কমরেড অশোক পাল,শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কমরেড মহন্ত চ্যাটার্জী ও কমরেড শেখ জাহাঙ্গীর।
এই ৬১তম খাদ্য আন্দোলন দিবসে উলুবেড়িয়া পৌর উত্তর এরিয়া কমিটির বিভিন্ন শাখায় মোট ৭ টি স্থানে শপথ গ্রহণ করা হয়েছে কেউ খাবে আর কেউ খাবে না,এটা হবে না। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে সৌমেন বাগ ও সমীর প্রামানিক জানিয়েছেন।
সম্পদ মাকাল জানিয়েছেন, শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আজ হীরাপুর শাখার গৌরীপুর গ্ৰামে খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস পালন করা হয়। রক্তপতাকা উত্তোলন করেন হীরাপুর শাখার সম্পাদক কমরেড শ্যামল খাটা।
দাশনগর থেকে সুপর্ণা পাঠক জানান,
সিপিআই(এম) পশ্চিম হাওড়া এরিয়া কমিটির অফিসে ৩১ শে আগস্ট,১৯৫৯ সালে খাদ্য আন্দোলন এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। রক্তপতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়।
বেলুড় পশ্চিম ৪ নং শাখার উদ্যোগে শহীদদের স্মরণ করা হয় মাল্যদান ও রক্ত পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এছাড়া ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বেলুড় ৪ নং ইউনিটের উদ্যোগে ঠাকুরণ পুকুর জঙ্গি সিং গলি এলাকা স্যানিটাইজ করা হয় বলে সরোজ দাস জানান।
আশিস কংসবণিক জানিয়েছেন সিপিআই(এম) বালি-জগাছা উত্তর এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে অঞ্চলের বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে রক্তপতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়।
হিমাদ্রি পাত্র জানান, জগৎবল্লভ পুরের বিভিন্ন প্রান্তে আজকের দিনটি পালিত হয় খাদ্য আন্দোলনের অমর শহীদ দের শ্রদ্ধায় স্মরণে শপথে ..
সংবাদদাতা—-লাল্টু ঘোষ:- বিপিএল, এপিএল নয়, এই প্যান্ডেমিক পরিস্থিতিতে পরিবারের প্রত্যেকের জন্য ১০ কেজি খাদ্যশস্য সহ করের আওতায় না থাকা ব্যক্তিদের একাউন্টে প্রতিমাসে ৭৫০০ টাকা দেওয়ার দাবি আজকের দিনে বড়ই প্রাসঙ্গিক। সিপিআই(এম) দক্ষিণ হাওড়া এরিয়া কমিটির বিভিন্ন শাখায় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হল খাদ্য আন্দোলনের বীর শহীদদের। ১ নং মৌখালী শাখায় রক্তপতাকা উত্তোলন করেন পার্টির বর্ষীয়ান সহযোদ্ধা সলিল দাস।
সংবাদদাতা—মৃন্ময়ী রং:- ৩১শে আগস্ট খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস পালন করার মধ্য দিয়ে শুধু স্মৃতি রোমন্থন নয়। মোদী দিদির রাজত্ব কালে খাদ্য সমস্যার আদৌ কি কোন সুরাহা হয়নি। বরং তা ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে।আজ ৩১শে আগস্ট” ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলন দিবসের “আহ্বান চাই না আর” অনাহার মরন” শহীদ দিবসে মাকড়দহ অঞ্চলের পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদান।
সংবাদ দিয়েছেন—-সুমন ঘোষ।গণআন্দোলনের শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে সিপিআইএম ডোমজুড় পশ্চিম এরিয়া কমিটির ৩৫ টি স্থানে রক্তপতাকা উত্তোলন করা হয়। মানুষের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণে ১৯৫৯ সালের ৩১ শে আগস্টের ঘটনার স্মৃতিচারণা করা হয়।