মিঠুন ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ:২২শে মে:– আট ঘন্টার কাজের পরিবর্তে ১২ ঘন্টার নতুন শ্রমিক আইন । শ্রমিক স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আজ শিলিগুড়িতে সিআইটিইউ সহ কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং এই বিক্ষোভ আরো একবার প্রমাণ করে দেয় শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নীতিতে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের গোপন বোঝাপড়া , কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন শ্রমিক বিরোধী অবস্থানে যখন সারাদেশে শ্রমিকরা নাজেহাল যেই মুহূর্তে দাড়িয়ে এদেশের প্রায় ১৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক নিজের ঠিকানায় ফিরতে না পেরে কেউ রাস্তায় হাঁটছেন কেউ সাইকেলে বাড়ি ফিরতে চাইছেন৮০০ কিলোমিটার ১২০০ কিলোমিটার কিংবা তারও বেশি। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিক সংগঠনগুলো বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় তাদের দোসর এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পুলিশ প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ তথা বর্তমান সিআইটিইউ দার্জিলিং জেলা সম্পাদক কমরেড সমন পাঠক সহ আরো অন্যান্য কমরেডদেরকে বিনা প্ররোচনায় গ্রেপ্তার করে।
আজ দার্জিলিং জেলা সিআইটিইউ এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দার্জিলিং জেলার গ্রামীণ চারটি ব্লক যথা নকশালবাড়ি , খড়িবাড়ি,ফাঁসিদেওয়া ,মাটিগাড়া সহ শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় সম্পূর্ণ লকডাউন এবং সরকারি নির্দেশিকা মেনে। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের কয়েকটি রাজ্য যার মধ্যে বেশিরভাগটাই বিজেপি শাসিত আন্তর্জাতিক শ্রম আইন লংঘন করে আট ঘন্টা কাজ এর পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজের আইন পাস করানো হয়েছে এবং শ্রমিকদেরকে সেই মতন কাজ করানো হচ্ছে , এবং এই অমানবিক আইনকে এই রাজ্যে প্রবেশ করতে সাহায্য করছেন এই রাজ্যের সরকার। যার দরুন আজ চা বাগান শ্রমিকেরা মাইনে পায়নি অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে , অবিলম্বে এই কালা আইন প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন জেলা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিটু’র জেলা সভাপতি কমরেড গৌতম ঘোষ।
শ্রমিক বিরোধী এই আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনার এবং শিলিগুড়ি পুলিশের এই অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান কমরেড অশোক ভট্টাচার্য।

![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2020/05/IMG_20200522_210318-1024x597.jpg)