মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:২২শে মে:-“দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর”– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আজ বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস পালিত হলো সারাবিশ্বে যথোচিত মর্যাদার সাথে। পালন করল জীববৈচিত্র্যের পক্ষে মানুষেরা । জীববৈচিত্র্য কী, এই বিষয়ে কম/বেশী সবার জানা। প্রকৃতি নিজের মতো করে নিজেকে সাজিয়েছে। যতদিন হোমোস্যাপিয়েন্সের দেখা মেলেনি , ততদিন প্রকৃতি দিব্যি ছিল। অবশ্য হোমোস্যাপিয়েন্স যতদিন প্রকৃতি সহায়ক কাজ করেছে, ততদিন সমস্যা হয়নি। সমস্যা হলো যখন থেকে নগরের নাম দিয়ে তথাকথিত সভ্যতার বিকাশ শুরু হলো। তাও প্রথমদিকে প্রকৃতি সামলে নিচ্ছিল।
কিন্তু ধনতান্ত্রিক সভ্যতা সবটাই প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ শুরু করলো। তখন থেকে জীববৈচিত্র্য বিঘ্নিত হলো। রাচেল কারসন বহুদিন আগে বলে গেছে কীটনাশকের অত্যধিক ব্যবহার কিভাবে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করবে।কিন্ত যাদের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা ,তারা শুনবে কেন?
না শোনার ফলে স্থলভাগের ক্ষতি তো হলো, বৃষ্টির জলে ধুয়ে কীটনাশক সমুদ্রে গিয়ে পড়ায় সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ব্যাঘাত হচ্ছে।মানুষ নির্বিকার। অরণ্যধ্বংস হোক, কয়লা উত্তোলন করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া, জলাভূমির ওপর আক্রমণ, সবকিছুর কারণ হলো একটি, এই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
কিন্তু বেশিরভাগ সবাই সমস্যা নিয়েই বলেন। সমাধানের বিষয়ে ভাবেন না। সমাধান একটাই সংঘবদ্ধ হয়ে এই ব্যবস্থাকে পাল্টানো। নতুবা প্রতিবছর এই দিন পালন করে যাওয়ায় হবে। অন্যদিকে জীববৈচিত্র্যের হাল বেহাল হয়েই যাবে।