রাজ্য

খবরের শিরোনামে চুঁচুড়া বাণীমন্দির বালিকা বিদ্যালয়।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২১শ আগস্ট:—সাড়া ফেলে দিল চুঁচুড়ার বানী মন্দির বিদ্যালয় —– হুগলী জেলার চুঁচুড়াতে বেশ নামী বিদ্যালয় “”চুঁচুড়া বালিকা বানী মন্দির “”” বিদ্যালয়—-সারা রাজ্যে যেমন মিড – ডে মিলের ব্যবস্থা আছে এই স্কুলেও আছে।। কিন্তু এই স্কুল কাল থেকে খবরের শিরোনামে।।। নামী সমাজকর্মী এবং অর্থনীতিবিদ দের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে এই মিড-ডে মিল চালু হয়।। সেই মিড- ডে মিলে চলছে চুড়ান্ত অরাজকতা।। সোমবার মিড – ডে মিলের মেনু ছিল “” নুন-ভাত””—– এটা বাচ্চাদের দুপুরের খাবার।। এই মিড- ডে মিলের একটা উদ্দেশ্য ছিল যা বাচ্চাদের স্কুলমুখী করা ——নুন্যতম শিক্ষা যাতে তারা পায় সেটা দেখা।। এটাও দেখা যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পুষ্টি র ঘাটতি না থাকে।। আর সেই বাচ্চাদের মুখের খাবার নিয়ে দূর্নীতি।। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চালে পোকা —–কাঁঁকড় —–যেদিন ডাল হল তো সেটা ডাল না জল বোঝা দায়।। যে জলে রান্না হয় তা আর্সেনিক যুক্ত জল।। বাচ্চা দের ভবিষ্যৎ নিয়ে চুড়ান্ত অবহেলা দেখাল বানী মন্দির স্কুল। হুগলী-চুঁচুড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখার্জী এই স্কুলের সভাপতি।। তিনি এই অভিযোগ নিয়ে অদ্ভুত কথা বললেন—-জানালেন কয়েকজন শিক্ষিকার জন্য এই দুরাবস্থা।। একজন নতুন ইনচার্জ এসেছেন তাকে অন্য শিক্ষিকারা মানতে চাইছেন না।। ব্যাংকে মিড-ডে মিলের টাকা পড়ে আছে কিন্তু সেই টাকা সই করে তোলার লোক নেই।। এই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষিকা নেই।। এই ঘটনা সামনে আসার পর প্রশাসন প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান সভাপতি।। শিক্ষিকাদের দাবী অনেকদিন ধরেই তারা বলে আসছেন মিড-ডে মিলের অচলাবস্থার কথা।। বিদ্যালয় এর প্রশাসনিক কাজের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে স্কুল পরিচালন সমিতি ও স্কুল শিক্ষা দফতরকে।। কিন্তু সুব্যবস্থা কিছু হয়নি।। মিড-ডে মিল নিয়ে চুড়ান্ত অসুন্তষ্ট অভিভাবকরা।। আজ অভিনব কায়দায় ——-বাউল গান গেয়ে এই অব্যাবস্তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।। জেলা স্কুল পরিদর্শক সুব্রত সেন বলেন সমস্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে——তাকে জানানো হয়নি এমন অচলাব্যস্থা——এখন জেলা প্রশাসন এর সংগে কথা বলে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন।। রাজ্যবাসীর দূর্ভাগ্য তারা এমন রাজ্যে বাস করে সেখানে নেতা মন্ত্রীদের লাফিয়ে লাফিয়ে বেতন বাড়ে —–সব রকম সুযোগ সুবিধা —–বিলাসবহুল রিসোর্টে থাকার বন্দোবস্ত——+নবান্নে রাজ্যের প্রশাসনিক অধিকর্তা বিলাসবহুল ঘরে বসে রাজ্য পরিচালনা করেন আর সেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় গুলিতে মিড-ডে মিলের নামে ফ্যান- ভাত—–নুন—-ভাত জোটে কি জোটে না।। এটাই ভুলে যান বাচ্চারা আগামীর ভবিষ্যৎ ——-তাদের পুষ্টি —–লেখাপড়া ঠিকমতো না হলে গোটা সমাজ টাই নিম্নগামী হবে——-এটা কবে বুঝবে প্রশাসন? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।