চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২১শে আগস্ট:—মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ই বেআইনি নিয়োগ, ভরা সভায় তোপ দাগেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র।।
হাওড়া পুরসভায় অর্থ দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে ৪০০ জন অস্থায়ী কর্মী ।এই বেআইনি নিয়োগের মদতদাতা খোদ মুখ্যমন্ত্রী।ভরা প্রশাসনিক বৈঠকে একথা ফাঁস করলেন খোদ হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীই প্রথমে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।প্রাক্তন মেয়রকে দোষারোপ করে তিনি বলেন ৪০০ লোক অর্থদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কেন নিয়োগ করা হয়েছে।বেআইনী কোনো কাজ তিনি করেন না।যারা এই অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পৌরমন্ত্রী একথার উত্তর না দিয়ে বল ঠেলে দেন প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীর কোর্টে।রথীন চক্রবর্তী বলেন যে ,তাঁরা ক্ষমতায় আসার সময় ৫০ টি ওয়ার্ড ছিল,যা পরে বেড়ে দাঁড়ায়৬৬ তে।সেই কারণে বিশেষ তহবিল তৈরী করে ১৫০০কর্মী নিয়োগ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর মৌখিক অনুমোদনে।
মেয়রের এই কথা শুনে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন তাঁর মৌখিক (ভারবাল) বলা কথা ভরা সভায় বলা হচ্ছে কেন।
যদিও হাওড়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্বেও পৌর বিল এনে পুরসভার মেয়াদ বাড়িয়ে প্রশাসক বসিয়ে তার মেয়াদ ও বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।সমস্যা তৈরী হয়েছে অর্থদপ্তরের বিনা অনুমোদনে বহাল হওয়া ঐ সব কর্মীদের বেতন নিয়ে।ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন পৌরনিগম অনুমোদন ছাড়াই এইসব নিয়োগ বেআইনী।তাদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে।
এই বৈঠকে খাদ্যসাথী ,রেশন কার্ড নিয়ে সরকারের বিভিন্ন অনিয়মের কথা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।তৃনমূলের কয়েকজন বিধায়ক উঠে দাঁড়িয়ে এইসব দূর্নীতির কথা ভরা সভায় বলতে থাকেন।এছাড়াও কৃষক দের জন্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের নাম নথীভূক্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরন হয়নি।একই অবস্থা শষ্যবীমা প্রকল্পেরও।
জেলার রাজনৈতিক মহলের খবর যে সকল নেতারা এসব নিয়ে মুখ খুলেছেন তারাই তাদের এলাকায় লোকসভা ভোটে পিছিয়ে গিয়েছেন।বিভিন্ন ভরা সভায় মুখ্যমন্ত্রী যে সকল প্রকল্পের গুনকীর্তন করেন তা যে কেবল ই ঢক্কানিনাদ তা নানান তৃণমূলী নেতামন্ত্রীদের কথাতেই কার্যত সেদিন পরিষ্কার হয়ে যায়।