নিজস্ব সংবাদদাতা: মালবাজার: চিন্তন নিউজ: ০৩/০৭/২০২৪:- ।বড়োসড় রেল দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ডুয়ার্সের রেলপথে চলা কলকাতা গামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। ট্রেন চালক তথা ট্রেনের কর্মীদের সচেতনতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিতে বরাত জোরে বেঁচে গেলেন বেশ কয়েকজন পথচারী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ।
প্রসঙ্গত জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ার জং – শিয়ালদা গামী ১৩১৫০ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ডুয়ার্সের চালসা রেলস্টেশন ছেড়ে নিউমাল স্টেশনে আসবার পথে বেশ কয়েকটি রেলগেট পেরোতে হয়। এই পথেই রয়েছে সোনগাছি চা বাগান এলাকা। ছুটে আসা ট্রেন থেকে হঠাৎ চালক দেখতে পান রেলগেট নামানো নেই। অথচ সিগনালে সবুজ বাতি অর্থাৎ থ্রু পাস দেওয়া রয়েছে। রেলগেটের কর্তব্যরত কর্মী পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে না থাকায় চালকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। ইতিমধ্যেই ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে গেছে।
রেলগেট খোলা থাকায় ওই পথে বাইক সাইকেল সহ ছোট গাড়ি রেলগেট পারাপার করছিলো। হঠাৎই ট্রেনের হর্ন ও ব্রেকের শব্দে দুই পাশেই দাঁড়িয়ে পড়েন পথচারীরা। ট্রেনের চালকের তৎপরতায় বড় কোন দুর্ঘটনার হাত থেকে বরাত জোরে বেঁচে যান সকলেই। ক্রেন থামিয়ে নেমে আসেন চালক সহ ট্রেনের গার্ড ও কর্মীরা। প্রসঙ্গত রেলের ম্যানুয়ালে বলা রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে হবে গার্ডের। অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কোন গুরুতর কারণে গেটম্যান সিগনাল না দিলে এভাবেই কর্মীরা তার খোঁজ নেন।
কিন্তু গেটম্যানের ঘরে ঢুকতেই অবাক সকলেই। বহাল তবিয়াতেই রয়েছেন গেটম্যান। তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন ওই গেটম্যান। কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গিয়েছে স্টেশন পর্যন্ত। সূত্রের খবর অভিযুক্ত গেটম্যানের অন্যমনস্কতার জন্যই ভুলটি হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে রেল দপ্তর। তবে রেলের তরফে কোন আধিকারিক বা কর্মী কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।
প্রশ্ন উঠেছে এত আধুনিকতা, উন্নত পরিকাঠামোর পরেও এই ধরনের ভুল বা ভুলের ফলে বিপদের আশঙ্কা কিভাবে টিকে রয়েছে তা নিয়েই। আধুনিক রেল পারাপার ব্যবস্থার বিষয়টি কি তাহলে গোটাটাই গিমিক? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তবে এই যাত্রায় প্রেমের চালকের তৎপরতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদা গামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস।