দেশ

ভাড়ার শূন্য, রানিং স্টাফদের ভাতা বন্ধ রেখেছে পূর্ব রেল


মাধবী ঘোষ:চিন্তন নিউজ:৮ই ডিসেম্বর:–পূর্ব রেলের লোকো রানিং স্টাফদের বকেয়া প্রাপ্য বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
পূর্ব রেলের চার ডিভিশনের প্রয়োজন ৭৮কোটি টাকা। এই টাকাও নেই পূর্ব রেলের ভাড়ারে। টাকার খামতির কথা বলে বন্ধ রাখা হয়েছে কর্মীদের প্রাপ্য। দেশের সব রেল জোনের রানিং স্টাফরা তাদের রানিং অ্যানাউন্স বা ভাতার টাকা হাতে পেয়েছেন। ব্যতিক্রম পূর্ব রেলের কর্মরত চালক ও গার্ডরা। কর্মী বিক্ষোভ ঠেকাতে অবিলম্বে টাকার সংস্থান চেয়ে পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল ফিন্যান্স অফিসারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে টাকার দাবি করেছেন রেল কর্তারা।

ঘটনা হলো পয়লা জুলাই ২০১৭ সাল থেকে, রেলের ট্রাফিক ও লোকো রানিং স্টাফদের কিলোমিটার পিছু ভাতা বেড়েছে। বর্তমানে গোটা দেশের রেলকর্মীরা ওই বর্ধিত ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে বর্ধিত থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পূর্ব রেলের কর্মীরা। গত ২৮ শে মে রেল বোর্ডের তরফে লিখিতভাবে বকেয়া টাকা দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। রেল বোর্ডের প্রতিশ্রুতি মত দেশের বাকি জোনাল রেলের রানিং স্টাফরা তা পেয়ে গিয়েছেন। বকেয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে পূর্ব রেলের চার ডিভিশনের কর্মরত রানিং স্টাফরা।

বঞ্চনা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। মালদা ডিভিশন সহ চার ডিভিশনে চালক ও গার্ডরা যৌথভাবে ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে দরবার করেছেন। যদিও ডিআরএম সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। জানা গিয়েছে মালদহ রেলওয়ে ডিভিশনে প্রায় চার হাজার চালক, সহ চালক রয়েছেন। গার্ডের সংখ্যা চার শতাধিক। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে মালদা রেল ডিভিশনে গার্ড, চালকদের ভাতা বাবদ ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তবে এই আর্থিক বছর শেষ হওয়ায় পাঁচ মাস আগে ওই বরাদ্দের মধ্যে ১০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। ফলে টাকা না থাকার জন্য গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রানিং এনাউন্স। এতে ১১ জন কর্মী গড়ে ৩০ হাজার টাকা করে কম বেতন পাচ্ছেন।

এই প্রসঙ্গে বামপন্থী সংগঠন ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্সইউনিয়নের জোনাল নেতা রূপতন দাস বলেন ইস্টার্ন রেলওয়ে মধ্যে চারটি ডিভিশন।,,শেয়ালদহ, হাওড়া, আসানসোল, মালদহ। এর মধ্যে কোন লিখিত নোটিশ ছাড়া লোকো রানিং স্টাফদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা বেতনেরই একটা অংশ। অতীতে এই ঘটনা কোনদিন ঘটেনি। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় রেলকে বিক্রি করে দিতে বি .এস. এন .এল. এর ধাঁচে নিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে জামালপুর ও সাহেব গঞ্জের গার্ড চালকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, সই সংগ্রহ শুরু করেছেন। মালদহের ডি আর এম এ র সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি কর্মীদের আশ্বস্ত করতে পারেন নি । তবে বলেছেন আগামী মাস থেকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি জানিয়েছেন ফান্ডে টাকা নেই,শেষ হয়ে গেছে। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা কর্মবিরতির পথে যেতে অনুমতি চান। কিন্তু এখনই ঐ পথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে চেন্নাই এ আমাদের সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন চলছে। সেখানে আলোচনার পর পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।