সুপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৮ই ডিসেম্বর:–সর্দি,কাশি, গলাব্যথা র দাওয়াই জানালেন আর জি কর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা জ্যেতির্ময় পাল_ শীতের আগমনী বার্তা এসে গেছে কিন্তু আসি আসি করেও ঠিকমতো আসছে না।। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি পানায় পড়ে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।। ঘরে ঘরে মানুষ সর্দি,কাশি আর গলাব্যথা যে কাবু হয়ে পড়েছে।। ডাঃ পাল জানান এই রকম আবহাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এর সংখ্যা বেড়ে যায়।। ভাইরাস ১৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং মাঝারি আদ্রর্তায় খুব বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ে।। আবার তাপমাত্রা ১৫/৪০ ডিগ্রি র উপর এ উঠলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার নিস্ক্র হয়ে যায়।।
এখন এই রাজ্যের তাপমাত্রা ১৫/৩৫ ডিগ্রির মধ্যে আছে। এছাড়া কিছুদিন আগে ভালো রকমের ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।। তাই এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে যে মানুষ দিকে দিকে সর্দি,কাশি গলাব্যথা ভুগছেন।। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ও রেসপিরেটারি সিনসাইটাল ভাইরাসের আক্রমন এ মানুষ এই সমস্যাতে পড়েন।। তাছাড়া অনেক সময়ই অ্যালার্জির কারণে মানুষের এমন সমস্যা হয়।।
কি করতে হবে জানালেন ডাক্তার বাবু__বেশীরভাগ ভাইরাস জনিত সমস্যা ৩/৪ দিনের মধ্যে নিজের থেকে কমে যায়।।এসব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়।। অর্থাৎ সর্দি,কাশি, গলাব্যথা , হাত-পা তে যন্ত্রনা হলে শুধু প্যারাসিটামল এই কমে যায়।।গলা ব্যথা তে গরম জলের গার্গল করতেই হবে।। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে হিস্ট্যামিনিক ওষুধ দেওয়া হয়।।
অ্যাজমা, হার্ট এর রোগ, কিডনির সমস্যা থাকলে কোনভাবেই ফেলে রাখা যাবে না।। এই সমস্ত ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে।। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া গতি নেই।।এসব রোগীদের প্রথম দিন থেকেই সাবধান এ থাকতে হবে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হবেই তাই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে নিজেদের কেই বদলে নিতে হবে।। এক্ষেত্রে রাতে বাইরে না বেড়ানো , ঠান্ডা জল না খাওয়া, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা, অ্যালার্জি থাকলে মাস্ক ব্যবহার করা।। সাধারণত এমন সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মানতে পারলে সুস্থ থাকা যায়।।