দেশ রাজ্য

কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থার কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে বিক্ষোভে শ্রমিক ইউনিয়ন।


রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য:চিন্তন নিউজ:২৪শে আগস্ট:–কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার সীমা অতিক্রম করেছে। মালিকপক্ষের সমস্ত বেআইনি ক্রিয়াকলাপে প্রশ্রয়
দিয়ে শিল্পক্ষেত্রে চরম অরাজকতা সৃষ্টি করেছে উভয় সরকার।১৬টি কয়লাখনি বন্ধ। রাজ্যে ৪০টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ। বিএস এন এলের অস্থায়ী কর্মীরা ৮ মাস বেতন পান না। ৯০০ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে লাভজনক
হওয়া সত্ত্বেও ব্রিজ এন্ড রুফ,বেঙ্গল কেমিক্যাল, আ্যলয় স্টীল,চিত্তরঞ্জনলোকোমোটিভ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আই সি ডি এস, আশা কর্মী,থেকে শুরু করে চটকল, চা,বিদ্যুৎ, পরিবহন, বিড়ি, বস্ত্র,বি এস এন এল, ইস্পাৎ, কয়লা – এক কথায় সমস্ত শ্রমক্ষেত্রে এক অসহনীয় অবস্থা।ইতিমধ্যে কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।মালিক ও সরকারের আঁতাতে শ্রমিকদের ন্যায্য আইনসঙ্গত প্রাপ্য সবই অনাদায়ী পড়ে আছে। তাঁরা ন্যূনতম বেতন বা মজুরি, পি এফের বকেয়া, চিকিৎসার সুবিধা কিছুই পাচ্ছেন না।

সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ নব মহাকরণ ভবনে শ্রমদপ্তরের সামনের এই বিপুল জমায়েতে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে
শ্রমিকদের উপর নানাভাবে অত্যাচার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। দীপক দাশগুপ্ত বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার যা বলছে তাই মেনে চলছেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যেকোনোওঅন্যায় নির্দেশের বিষয়ে রাজ্য সরকারের নীরবতা শ্রমিকদের অবস্থা ক্রমশই অসহায়। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারে হস্তক্ষেপ হলে বা অন্যায় জুলুম হলেও কোনো উচ্চবাচ্য নেই।সুভাষ মুখার্জি বলেন , কাজহারানো বুভুক্ষু মানুষের পেটে কিল মারলে তার ফল ভালো হয় না। প্রশান্ত নন্দীচৌধুরী বলেন,সরকার নিজেই আইন অমান্য করলে, মালিকপক্ষের সুবিধার্থে আইন পরিবর্তন করলে , সেই অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই দিনে দিনে আরো তীব্র আকার নেবে।এরপর নভেম্বর মাসে শ্রমিক আন্দলোন আরও তীব্রতর আকার নেবে। আগামী দিনে ধর্মঘট হবে। সেদিন অবস্থা পুলিশ দিয়ে সামলাতে পারবে সরকার? সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ বলেন,কেন্দ্র প্রচলিত শ্রম আইন রোধ করে চারটি লেবার কোড চালু করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। মজুরি কোড ইতিমধ্যেই সংসদে পাশ হলো।
আট ঘন্টা কাজ পাওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। ন্যুনতম মজুরি দেওয়ার আইন ও অমান্য করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চারবছর পর চটকল শ্রমিকদের দু’টাকা মজুরি বৃদ্ধির ব্যবস্থার চেয়ে পরিহাসের বিষয় আর
কী হতে পারে!

এদিন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর কাছে যে দাবিপত্র দেওয়া হয় সিআইটিইউ এর পক্ষ থেকে। তাতে অন্যান্য দাবির সঙ্গে বলা হয় :

  • চা শিল্পে অবিলম্বে ন্যুনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে।
    চা শ্রমিকদের রেশন ব্যবস্থা
    বন্ধ চা বাগান খুলতে বিলম্ব মানা হবে না।
  • রাজ্যের কয়েক লাখ ঠিকা
    শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মজুরি সহ
    সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
  • পরিবহন ক্ষেত্রে পুলিশের
    তোলাবাজি অবিলম্বে বন্ধ
    করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি
    ও স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে গণ্য
    করতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।