রত্না দাস, চিন্তন নিউজ, ৮ জুলাই: অর্থলগ্নি সংস্থা সরদার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানি মুখার্জির ফোন কল ডিটেলস রেকর্ড লোপাট হয়েছে আগেই। সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের হেফাজতে থাকাকালীন তাদের জেরার ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সিডিও লোপাট বলে অভিযোগ তুলেছেন সিবিআই। তাদের অভিযোগ কুনাল ঘোষকে জেরার সিডিও সিটকে দেওয়া হয়েছিল। সেই সিডিও গায়েব।
সুদীপ্ত, দেবযানি ও গাড়ি চালক অরবিন্দ কুমার চৌহানকে সিটের গোয়েন্দারা ২০১৩ সালের ২৩শে এপ্রিল কাশ্মীরের শোনমার্গ থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরে কুনালকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাশ্মীর থেকে কলকাতায় এনে সুদীপ্ত, দেবযানি, অরবিন্দকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। সেই জেরা করার ভিডিও করে রাখা হয়েছিল বলে সিবিআই-কে জানায় সিট। সিবিআই তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন যে, সেই সিডির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
সিবিআই সূত্রের খবর, সিটের অন্যতম কর্তা রাজীব কুমারের মুখোমুখি কুনালকে বসানো হয়েছিল। কুনাল জানান, “সারদার কয়েকটি আর্থিক দুর্নীতির নথি ও তিনটি সিডি সিটের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। তা রেকর্ডও করা হয়েছিল।” সিটের তদন্তকারীরা সেই সিডির কথা অস্বীকার করে।
সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, এই ভিডিওর বিষয়ে রাজীবকুমারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন সেই বিষয়ে জানেন তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ ও নিচু তোলার অফিসাররা।
সুদীপ্ত, কুনাল, দেবযানিকে ক্যামেরার সামনে ভিডিও রেকডিংও সিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। অর্ণবকে সেই সিডিগুলো দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ইন্সপেক্টররা। আর অর্ণব জানান তা দেওয়া হয়েছিল রাজীব কুমারকে।কিন্তু রাজীব কুমার জানান তিনি কিছুই জানেন না।
সিবিআই-কে সুদীপ্ত ও দেবযানি জানান, বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির সাথে সারদার যোগ আছে বলে অভিযোগ করেন ও সিটকে জানায় সারদার নথিপত্র কোথায় রয়েছে। তারা জানায় সিট সারদার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশিও চালিয়েছিল।
সারদার সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের যোগাযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথির কথা সিটকে জানিয়েছিল তারা। প্রভাবশালী যোগের নানা নথি নষ্ট করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানান সিবিআই কর্তারা। সিবিআই জানান প্রভাবশালীদের আড়াল করতেই তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ও সিডি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। উদ্দেশ্য সারদার সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগ আড়াল করা। সিবিআই জানায় রাজীব, অর্ণব ও সিটের কর্তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। তাতেও ওই সিডির হদিস পাওয়া না গেলে, তাহলে আদালতকে পুরো বিষয় টি জানানো হবে।