দেশ

ভোটের পর কাজ হারাতে চলেছে পঞ্চাশ হাজারের বেশি বি.এস.এন.এল. কর্মী


মৌসুমী চক্রবর্তী, চিন্তন নিউজ, ২৩ এপ্রিল: ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)–এর প্রায় সাড়ে ৫৪ হাজার কর্মীর জন্য তেমন কিছুই ঘটতে চলেছে। ভোট না থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চাকরি খোয়াতেন তাঁরা, কিন্তু লোকসভা ভোটের কারণেই আপাতত কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির পরিচালন বোর্ড। আর তাই আরও দু’‌মাস মেয়াদ বাড়ল বিএসএনএলের ৫৪,৪৫১ জন কর্মীর।
শোনা যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতার বাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক মন্দায় ধুঁকছে কেন্দ্রীয় এই টেলিকম সংস্থাটি। আর তাই সংস্থার বেহাল দশা ফেরাতে বি এস এন এল কতৃপক্ষ ‌একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। ঐ কমিটি মোট ১০টি সুপারিশ করেছিল সব দিক বিবেচনা করে। যার মধ্যে তিনটি অনুমোদন করে বি এস এন এল কর্তৃপক্ষ। সেগুলি হল– সংস্থার কর্মীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর থেকে কমিয়ে ৫৮ করা। ৫০ বছরের বেশি বয়সি কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর বা ভিআরএস দেওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব বিএসএনএলের জন্য ৪জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা।
নতুন নিয়মে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩১২ জন বিএসএনএল–এর কর্মীর মধ্যে ৩১ শতাংশই ছাঁটাই হতে চলেছেন, অবসরের বয়স কমানোয় ৩৩,৫৬৮ জন কর্মী বাদ পড়তে চলেছেন, অন্যদিকে, স্বেচ্ছাবসরের কারণে বাদ পড়তে চলেছেন ২০,৮৮৩ জন এই অনুমোদনের কারণে। কিন্তু সামনে ভোট। আর তাই এখনই এত পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা উচিত হবে না। কথায় আছে ‘‌ভোট বড় বালাই’। আর সেটাই এবার সত্যি হতে চলল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল–এর প্রায় সাড়ে ৫৪ হাজার কর্মীর ক্ষেত্রে। ভোট না থাকলে হয়ত চাকরি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চলে যেত। কিন্তু লোকসভা ভোটের কারণেই আপাতত কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখল।
কিন্তু লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজনৈতিক মহলের মতে, এতে সমস্যায় পড়তে পারে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই এখনই কর্মী ছাঁটাইয়ে শিলমোহর দেয়নি মোদি সরকার। ভোটের কারণে আগামী দু’‌মাস অন্তত চাকরিজীবন থাকছে এই ৫৪,৪৫১ জন কর্মীর। যদিও বিএসএনএল–এর পরিচলন পর্ষদ কর্মী ছাঁটাইয়ের এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।