দেশ

কর্মহীনতায় কেন্দ্র সরকারের দ্বিতীয় দফা হার মানিয়েছে প্রথম দফাকে।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৪ঠা জানুয়ারি:কর্মহীনতায় প্রথমদফাকে হার মানিয়েছে দ্বিতীয়দফা ।বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে মোদী দ্বিতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন।। নির্বাচনের আগে বড় বড় ভাষনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আজ অতল গহ্বরে।। এদেশের কৃষকদের আয় বাড়েনা, তাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ৬ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া সেটাও উধাও।। খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া কিন্তু কৃষকরা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে।। মোদীর দ্বিতীয় পর্বের এটাই ছবি __জিনিস এর দাম বাড়ে অথচ কৃষক দের কোনো উন্নতি হয় না লাভ হয় ফড়ে দের।। এটাই গ্রামের ছবি।।

প্রথম জামানাতে কৃষকদের জীবন জীবিকার কোন উন্নতি হয়নি ।। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি বন্যা বইয়ে দিয়েছেন।। নানারকম প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন।। কিন্তু এক মন তেল ও পুড়লো না রাধাও নাচলো না।। আবার বলা হল ৬ হাজার টাকা করে কৃষকদের ভাতা দেবে মোদী সরকার।।২০১৯_২০ সালে এই ভাতা দেওয়ার জন্য ৭৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।।৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কৃষকরা সেই টাকা পাননি।। কথা ছিল তিন কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে।। প্রথম প্রথম কিছু কৃষক টাকা পেলেও বাকি টাকা পৌঁছায় নি। গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে ভাতার জন্য নাকি কৃষকদের নাম নথিভুক্ত সংখ্যা কমে যাচ্ছে।। বরাদ্দ অর্থের টাকা খরচ হয়নি।।

আর্থিক বছর শেষ হতে চলল মোদীর বহু ঘোষিত পিএম কৃষক ভাতা কৃষকদের মেলেনি।। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন গ্রামের মানুষের আয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত একটা প্রহসনে পরিণত হয়েছে।।গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে খাদ্য পন্যের দাম আকাশছোঁয়া ।। মুল্য বৃদ্ধির হার বেড়ে ৮’৭ শতাংশ হয়েছে যা রেকর্ড তৈরি করেছে।। খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু গ্রামীণ মজুরি বাড়েনি।শ্রম মন্ত্রকের পক্ষে জানিয়েছেন পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক মজুরি ২৮৬’৫৯ আর মহিলা দের ক্ষেত্রে ২২৩’৩৫/-. । আবার কেরালায় এই মজুরির হার ৭০২ টাকা।। এদিকে মোদী জামানায় দুটি বড় ঘটনায় কৃষিতে মজুরি বিপুল পরিমাণে কমেছে।। গ্রামের মজুরীর বেহাল অবস্থা জানা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি বলে মনে করেন খেতমজুর ইউনিয়নের সংগঠকরা।।

নোট বাতিলের সময় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের দাম পায়নি।।খেতমজুরদের কাজ কমে যায় সেসময়।।নগদ এর অভাবে অকৃষি কাজ ও কমে যায় ওই সময়।।এই সময় মজুরি বিপুল পরিমাণ হ্রাস পায়।। মোদীর ঘোষণা করা কৃষকদের আয় বাড়ানোর প্রকল্প সুপার ফ্লপ করে।। যখন বিপুল পরিমাণ ফলন হয় তখন ও কিন্তু কৃষকরা দাম পাননা।। যখন দাম পড়ে যায় তখন কৃষক রা ফসল বাজারে বিক্রি করতে পারে।।। মজুতদাররা ফসল এর দাম তোলে। লোকসান গুনতে হয় সেই কৃষক দেরই।। দেশজুড়ে কৃষি সঙ্কট গ্রামের মানুষদের কর্মহীন করে তুলেছে।।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।