নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ১৮ মে: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়৷ রাজ্যে বাম শাসন সরিয়ে এখন বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার চলছে৷ নির্বাচনের দিন একের পর এক রিগিং ও সংঘর্ষের ঘটনায় পশ্চিম ত্রিপুরার সর্বত্র উত্তপ্ত ছিল৷ অভিযোগ ওঠে- বিজেপি সমর্থকরা বুথ দখল করে ছাপ্পা মারছে৷ প্রতিবাদে সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফে নির্বাচন কমিশনে পুনঃনির্বাচনের আবেদন করা হয়৷
নির্বাচন কমিশনের তদন্তেও উঠে এসেছে ব্যাপক রিগিং ও ছাপ্পা ভোটের বিষয়টি৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ৪৩৩ টি বুথে পুনরায় ভোট চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিষয়টি পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের ডাকা হয়েছিল। সেই মতো অভিষেক মনু সিংভি, জয়রাম রমেশ এবং ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা যান নির্বাচন কমিশনে। তারা ৪৩৩ বুথে পুনঃনির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এই লোকসভা কেন্দ্রের গতবারের বাম সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় ভোট করার আবেদন করেছিলেন৷ সুপ্রিম কোর্ট তাকে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন। বর্তমান সাংসদ বুধবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালতেই ফয়সালায় হবে ভোট। ত্র্রি্রিপুরা হাইকোর্ট আগামী ২১ শে মে শুনানির দিন ঠিক করেছেন।। প্রসঙ্গত পূর্ব ত্রিপুরা আসনেও ভোটের আগে থেকে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল৷ আসছিল খুনের হুমকি৷ সেখানে ভোটের দিন পিছিয়ে দিয়ে আরও নিরাপত্তা সহ ভোট করানো হয়েছে৷