রণদীপ মিত্র:চিন্তন নিউজ: ২৭শে জানুয়ারি:–ভিসি গো ব্যাক’ ধ্বণি তুলে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও এবার থানায় অভিযোগ পড়ুয়াদের।
– ‘বাইক বাহিনী নিয়ে এসে ওষুধ দিয়ে দাও’, ছাত্র আন্দোলন দমাতে দুষ্কৃতি-পান্ডার উদ্দেশ্যে উপাচার্যের এমন নিদানের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর এমনিতেই তোলপাড় বিশ্বভারতী। উপাচার্যের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের সরাসরি থানায় অভিযোগ দায়ের মত বেনজির ঘটনার সাক্ষী শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাস। প্রতিবাদের ধ্বণিতে মুখরিত বিশ্ববিদ্যালয়। তারই অঙ্গ হিসাবে সোমবার বিকেলে বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রী ঐক্যের তরফে ডাক দেওয়া হয়েছিল প্রতিবাদ মিছিলের। এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়ার ঘোষনা ছিল তার।
কিন্তু আচমকা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশিকা জারি করে দেয় মিছিলের আগে। দুপুর বেলায়। সেই নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় কার্য্যালয় চত্বরকে ‘নো ডিস্টার্ব জোন’ বলে ঘোষনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিদান দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়, কেন্দ্রীয় প্রন্থাগারের সামনে করা যাবে না কোনো মিছিল। করা যাবে না জমায়েত। করতে দেওয়া হবে না অবস্থান। তড়িঘড়ি বসানো হয়েছে আট-আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে থমকে যায় নি প্রতিবাদ। এদিন বিক্ষোভ হয়েছে। পড়ুয়ারাই করেছেন। উপাসনা গৃহের সামনে অবস্থানের মধ্য দিয়ে।
বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রী ঐক্যের তরফে শেহনাজ খাতুন বলেছেন, ‘‘আমাদের আন্দোলন দমাতে উপাচার্য একের পর এক স্বৈরাচারি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। স্বৈরাচারি উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। ’’ শুধু উপাচার্যের বিরুদ্ধেই নয়, সোমবার পড়ুয়াদের তরফে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও নতুন একটি অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। কারন জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বান সরকার সংবাদমাধ্যমে উপাচার্যের ‘বাইক বাহিনী নিয়ে এসে ওষুধ দিয়ে দাও’ নিদানের ভিডিও টিকে ভূয়ো বলে জানিয়েছেন। উপাচার্যের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন। এর বিরুদ্ধেই পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ করেছেন এদিন। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ‘‘তদন্ত শেষ না হতেই জনসংযোগ আধিকারিক এমন মন্তব্য করতে পারেন। এর মধ্যে দিয়ে তিনি তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছেন। তাই আমরা অভিযোগ করেছি থানায়।’’ এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলেও জনসংযোগ আধিকারিক ফোন ধরেন নি।