জেলা রাজনৈতিক

বীরভূম জেলা সংবাদ


রাহুল চ্যাটার্জি, চিন্তন নিউজ, ২২ নভেম্বর: কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ, কৃষক ও গণ সংগঠন গুলির ডাকা আগামী ২৬শে নভেম্বর এর বন্ধের সমর্থনে আজ রামপুরহাট শহরে মিছিল পরিক্রমা করলো। সাধারণ কর্মী সমর্থক দের পাশাপাশি পা মেলান প্রাক্তন সাংসদ ডা: রামচন্দ্র ডোম, সিপিআইএম নেতা সঞ্জীব বর্মন প্রমুখ। মিছিল শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয় ছ-ফুকো মোড়ে। হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা কংগ্রেস এর সভাপতি মিল্টন রশিদও এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন স্বপন সর্দার(টিইউসিসি), মহঃ সিরাজুদ্দিন(এআইটিইউসি), মিল্টন রশিদ এবং সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন সিআইটিইউ বীরভূম জেলা কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান।

অন্যদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল সিপিআইএম নেতা এজাজুল শেখের ১৮ তম শহীদ দিবস। ২০০৩ সালের এই দিনটিতে শহীদ হয়েছিলেন মুরার‌ই ব্লক কৃষক সভার সম্পাদক কমরেড এজাজুল শেখ। খাস জমি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে জমি চিহ্নিত করণের কাজ করছিলেন ধারাবাহিক ভাবে। জোতদারদের নিযুক্ত ঘাতক বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন জমি আন্দোলনের এই অগ্রণী নেতা। প্রতিবছরের মতো এবছরও কমরেড এজাজুল শেখের কাশ্যিল্লা গ্রামে তার স্মরণে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বামপন্থী শিক্ষক নেতা কমরেড রাজপতি মাল সভাপতিত্ব করেন। শহীদ কমরেড এজাজুল শেখের স্মরণে বক্তব্য রাখেন বীরভূম জেলা সিপিআইএম পার্টির অন্যতম নেতৃত্ব দুকড়ি রাজবংশী, কমরেড নাসির‌ ওয়াদেন, কৃষক নেতা নুরুল ইসলাম, ধীরেন মাল প্রমুখ। এজাজুল শেখের পুত্র নুরুল ইসলাম (বিপ্লব), ভাই আবুল হাসান ও বোন শেরিনা বেগম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো হয় এদিন পার্টির পক্ষ থেকে।

এদিকে আগামী ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট নিয়ে রীতিমত ঝাঁপিয়ে পরেছে গোটা বীরভূম জেলার লাল পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা। ধর্মঘটের সমর্থনে বাম-কং ট্রেড ইউনিয়ন গুলির কেন্দ্রীয় মিছিল পরিক্রমা করে সাইথিয়া শহরেও। সাধারণ ধর্মঘট উপলক্ষে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে নওয়াপাড়া অঞ্চলের নাকপুর চেকপোস্টে পথসভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জীব বর্মন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লোহাপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক দুলাল সরকার, কৃষকসভার ব্লক সভাপতি কমরেড মুসা হক এবং কংগ্রেস নেতা আবুল হোসেন। মহম্মদ বাজারে প্রচার কর্মসূচির পাশাপাশি আঙ্গারগড়িয়াতে মশাল মিছিল পরিক্রমা করে।

রামপুরহাটে ইরিগেশন কলোনির(সেচ বিভাগীয়) খেলার মাঠে রিসর্ট / হোটেল বানানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই দাবিতে সেচ বিভাগ অধীনস্ত “ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানেল ডিভিশন” এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কে ডেপুটেশন দিল ডিওয়াইএফআই এসএফআই রামপুরহাট লোকাল কমিটি গুলি। কপি পাঠানো হয়েছে বীরভূমের জেলা শাসক ও মহকুমা শাসককে (রামপুরহাট)। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই বীরভূম জেলা সভাপতি অমিতাভ সিং, সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য রানা লেট, সহ অন্যান্যরা। ইরিগেশন কলোনির খেলার মাঠে রিসর্ট / হোটেল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যে মাপযোখের কাজও সরকারি প্রতিনিধিরা করে গেছেন। ঠিকাদারও টেন্ডার পেয়েছে।

DYFI ও SFI এদিন দাবি জানায় যে খেলার মাঠ ধ্বংস করে রিসর্ট বানানো চলবে না। তারাপীঠ – রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। খেলার মাঠে রিসর্ট বানানোর সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। কারণ, রামপুরহাট শহরের ছাত্র যুবদের কাছে ইরিগেশন কলোনির খেলার মাঠ খেলাধুলা ও শরীর চর্চার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মাঠ। এই মাঠ ধ্বংস করে হোটেল বানানোর সিদ্ধান্ত ছাত্র যুব ও ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের স্বার্থ বিরোধী। এই মাঠকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে রামপুরহাটের নাগরিক সমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে DYFI ও SFI এর পক্ষ থেকে।

এদিকে আজ যুব দিবস পালনের সাথে সাথে আগামী ২৬শে নভেম্বরের দেশব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে বাজার এলাকায় প্রচার কাজ চালায় রামপুরহাট এর ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।

এদিন সিউড়ি -১নং লোকাল DYFI এর উদ্যোগেও যুব দিবস পালন করা হয় ও আগামী ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করে তাঁরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।