রাজনৈতিক রাজ্য

পাহাড়ে ফিরছেন বিমল গুরুং।


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ২৯ শে নভেম্বর – দার্জিলিং পাহাড়ে নতুন খবর, ৬ ই ডিসেম্বর পাহাড়ে ফিরছেন গোর্খা জনমুক্তি প্রধান বিমল গুরুং। তিনি ফিরলেই নাকি পাহাড়ে উন্নয়ন হবে, একথা বলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি আরো বলেন, গুরুং বিরোধী অংশের সভাপতি বিনয় তামাং এবং জিটি এ চেয়ারম্যান অনীত থাপাররা পাহাড়কে ধ্বংস করছে। বিমল গুরুং পন্থীরা বাগডোগরা বিমান বন্দরে এসে শনিবার তাকে স্বাগত জানান। পাহাড় মোর্চার পতাকায় সেজে ওঠে। আগামী সপ্তাহে বিমল গুরুং ও রোশন গিরি একসাথে সিবচুতে সভা করবেন। কলকাতা থেকে বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরবেন। রাজনৈতিক দিক থেকে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে সাড়ে তিন বছর পরে তিনি ফিরলে বিনয় তামাং ও অনীত থাপারের সমর্থকদের সাথে সঙ্ঘাত ঘটবে। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি রোশন গিরির কথা, তারা পাহাড়ের মানুষের আবেগের সাথেই আছেন। বিমল পাহাড়ের জননেতা। তার প্রতি পাহাড়বাসীর সমর্থন আছে।

এদিকে পাহাড়ের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ের জমি পুনরুদ্ধার করতে রোশন গিরির দল বিজেপির বিরোধিতা করে রাজ্যের শাসকদলের কাছাকাছি এসে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। এদিকে একথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান সাধারণের কাছে যে, নানাপ্রকার অপরাধমূলক মামলায় জড়িয়ে থাকা গুরুং একজন পলাতক নেতা।তার বিচারের কোন রায় না বেরোতেই পাহাড় গড়ার কাজে ছাড়পত্র পায় কিভাবে এই প্রশ্ন বিনয় তামাং ও অনীত থাপারের সমর্থকরা তুলছেন। তাই তাদের অভিমত তিনি পাহাড়ে স্বাগত হতে পারেন না। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরেও যে বিশুদ্ধতার প্রয়োজন তার উত্তর হয়তো উভয়ের এই সংঘাতের মধ্যে দিয়ে উঠে আসবে। উঠে আসবে সেই উত্তর, পাহাড় কোন দ্বিচারিতার শিকার হবে কিনা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।