রাজ্য

স্মরণে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দূর্ঘটনার মর্মান্তিক কালো দিন


সুরজিৎ গুহ:চিন্তন নিউজ:২৮শে মে:- প্রতিবারের ন্যায় নিয়মমাফিক ২২.৫০ এ হাওড়া থেকে ছাড়লো ১২১০২ ডাউন জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।২৮.০৫.২০১০ রাত ১২.৩০ এ খড়গপূর ছাড়লো, ট্রেন চলছে আপন গতিতে হঠাৎ ছন্দপতন, সরদিয়া ও খেমাশুলি স্টেশন এর মাঝে বিকট শব্দে লাইন বিচ্যুতি ঘটলো জ্ঞানেশ্বরি এক্সপ্রেসের।কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিকেই সারা মিডিয়ার নজর সেদিকে। নজরের আড়ালেই ঘটে গেল ভয়াবহ দূর্ঘটনা।

প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার সেদিন মানে ২৮.০৫/2010 থেকে ৪ দিনের বাংলা বন্ধ ডেকেছিল মাওবাদীরা।সেই বন্ধের ৯০ মিনিটের মধ্যেই রেলের লাইনের পেন্ড্রল ক্লিপ খুলে বিচ্যুতি ঘটানো হলো জ্ঞানেশ্বরীর।

তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিমায় তদন্তের আগেই মাওবাদীদের ক্লিন চিট দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করলেন সিপিআইএমকে।
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ও কেন্দ্রের নির্দেশে তদন্ত শুরু হলো ধরা পড়লো সমীর মাহাতো , খগেন মাহাতো “সিধু কানহু গণ মিলিশিয়া” যা পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারনের কমিটির মিলিটান্ট উইং এর এই কমিটি যা মাওবাদীদের প্রকাশ্য সংগঠন এবং দোষী সাব্যস্ত হলো ছত্রধর মাহাত ( যার সাথে মাননীয়া এবং তাবর তাবর ব্যক্তিত্ব স্টেজ শেয়ার করেছেন) , শশধর মাহাতো ( ছত্রধরের ভাই, মাওবাদীদের উইং কমান্ডার) , সুচিত্রা মাহাতো ( শশধরের স্ত্রী, মাওবাদী নেত্রী, বর্তমানে তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াই এর গৃহিণী) মনোজ মাহাতো ( ছত্রধরের ভাই, লালগড়ের তৃণমূল নেতা একদা মাওবাদী নেতা) জাগরি বাষ্কে ( একদা মাও, বর্তমানে তৃণমূলী নেত্রী তাও আবার সরকারি সিকিউরিটি প্রাপ্ত) ।

এই দূর্ঘটনায় জীবন গেল ১৪৮ জনের
গুরুতর জখম হলেন ২০০এর অধিক জন
২০১১ তে রাইটার্স দখলের অন্যতম সিড়ি হয়েই থাকবে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।