রূদ্র চক্রবর্তী: চিন্তন নিউজ: ৪ঠা মে :- লকডাউনের জেরে বেহাল দশা রাজ্যের ৬০টি জুটমিলের ৩ লক্ষ্যের কাছাকাছি শ্রমিক কর্মচারীদের।দেশে খাদ্য মজুতের জুট ব্যাগের অভাব, অথচ বন্ধ জুটমিল। বন্ধ জুট মিলের শ্রমিক/কর্মচারীরা এইসময় অধিকাংশ দিন কাটাচ্ছেন অর্ধাহারে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সমস্যা আরো প্রকট হয়ে পরে। রাজ্যের জুটমিলের শ্রমিক/কর্মচারীরা এই লকডাউন হওয়ার পর থেকে আর কোনো মাহিনা পায়নি। জুটমিলের শ্রমিকদের অধিকাংশের প্রতিদিনের মজুরি ২০০ থেকে ৪০০র মধ্যে।
শ্রমিকনেতা অনাদি সাহুর নেতৃত্বে বামপন্থীসহ ২১টি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকারের কাছে রাজ্যের জুটমিলের শ্রমিকদের করুন অবস্থার কথা লিখিত আকারে জানানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনো সদর্থক ভুমিকা দুই সরকার নেয় নি। মালিক পক্ষও শ্রমিক/কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদাসীন। শ্রমিক সংগঠন গুলোর পক্ষ থেকে রাজ্যের সর্বত্র থানায় মালিকদের বিরুদ্ধে এফ.আই.আর. করা হয়। শ্রমিকদের এই করুন অবস্থায় বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন গুলো তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।রাজ্য সরকার ১৫% শ্রমিক নিয়ে মিল গুলো চালানোর কথা বলে। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা মনে করছে শ্রমিক সংগঠন গুলো। কেননা এই ১৫%শ্রমিক বেঁচে নিয়ে কাজ করালে শ্রমিকদের মধ্যে অ সন্তোষ বাড়বে । শ্রমিক সংগঠন গুলোর পক্ষ থেকে মালিকদের কাছে জানানো হয় যে এই লকডাউনের সময় সকল শ্রমিকদের পাওনা মজুরি দিতে হবে। কারণ সকল শ্রমিকরা দেশ বাঁচানোর জন্য নিজেদের কষ্টের মধ্যেও কারখানায় কাজ যাচ্ছে না। এই বিষয় সরকারের মানবিক হওয়ার দরকার ছিলো। বন্ধ জুটমিলের শ্রমিকরা কোনো সাহায্য পাচ্ছে না সরকারের থেকে।
এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাঁশবেড়িয়ার জুটমিলের এক শ্রমিক নেতা জুলফিকর আলী বলেন “মিলের শ্রমিকরা ২১শে মার্চের পর থেকে মজুরী পাচ্ছে না। মিল মালিক মিল এলাকায় মাত্র একবার সানেটাইযেশন করেছে। যেখানে প্রায় ২টো ওয়ার্ড নিয়ে ২৫ হাজারের উপর মানুষের বসবাস। এরমধ্যে তারা মিল গেটের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে ১২ঘন্টার ভুখা অবস্থান করে সামাজিক দুরত্ব মেনে।”শ্রমিক সংগঠন গুলো সরকার এবং মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখে, শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্ত নিলেই তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন।