শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

প্রসঙ্গ অনলাইন শিক্ষা


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৪ঠা মে :- বিশ্বের এখন মহাত্রাস করোনা ভাইরাস সংক্রমণ।। গোটা বিশ্ব জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ে চলছে নানা রকম আলোচনা।। তার মধ্যে অন্যতম হলো ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত।। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিন্তা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।। ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান প্রয়োজন ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা এবং দেশের নানারকম প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড,ব্যাবসা, কলকারখানা তে যাতে শিক্ষিত ছেলে মেয়ে রা পরিষেবা দিতে পারে।। যদি আজকের ছেলেমেয়েদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা সম্পূর্ণ না হয় তবে রাষ্ট্র তথা দেশের মানুষ বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।।ভারতীয় ও বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা মুলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।। এতে প্রধান লাভ হলো শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন।। এই জন্য প্রাচীন কালে গুরুগৃহ বা টোলের শিক্ষা বিশেষ সমাদৃত ছিল।। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এই জন্যই প্রয়োজন।।

কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণ এর ভয়ে সবসময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গেলে বাড়ীতে অনলাইনে পড়াশোনা করা বিশেষজ্ঞ দের মত। শুধু বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাই নয় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মাধ্যম বা সংবাদ মাধ্যম এই ভাবে পড়াশোনা করতে সাহায্য করছে।। মোবাইল, কম্পিউটার , ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনা চালানো হচ্ছে।। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাবে শিক্ষা দানই হলো শিক্ষার ভবিষ্যৎ।। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলে যেমন তেমনই সামাজিক ও ব্যাক্তিগত চিন্তা ভাবনা ও চেতনার জন্ম দেয়।। নানা সামাজিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে তৈরি হয় “অন্যমত”।। সারা বিশ্বের উচ্চশিক্ষার ইতিহাস এ প্রমাণ হয়েছে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতুহল হল এর বীজ বপন করে।। শুধু মাত্র পড়িয়ে যাওয়াই নয় পড়ুয়ারা প্রশ্ন করতে শেখে।। এটাই হলো বুদ্ধির বিকাশ।। সব কিছু মেনে নেওয়া নয় তারা পড়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করতে শেখে।। মানুষের মনের পরিবর্তন করার উপায় হলো শিক্ষা।।
এই অনলাইন শিক্ষার গ্রহনযোগ্যতার পক্ষে যেমন বিশেষজ্ঞগন বলছেন তেমনই বলছে সরকার।। তাঁরা বলছেন এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা করা অনেক কম ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব।। প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত সময়ে মোবাইল বা অন্যকোন মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করার সুবিধা।। পরীক্ষা দেবে নিজের ইচ্ছামত প্রস্তুতি বুঝে।। ফলে বহু সমাদৃত কলেজ, ক্যান্টিন ইত্যাদি বাদ দিয়ে একলা একলা নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া।। এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে ব্যাক্তি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে উৎসাহিত করে।।

অনেকেই বলেছেন করোনা ভাইরাসের আক্রমণ এর ফলে সবকিছু বদলে যাবে ।। তার সাথে বদলে যাবে শিক্ষা ব্যাবস্থাও।। হয়তো শিক্ষা পর্যবসিত হবে সম্পর্কবিহীন , বন্ধু বিহীন ও সমাজ বিহীন নিছক একটি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি তে।।। পড়ুয়া দের মধ্যে জানার ইচ্ছে বা যে যা বলছেন তাই মেনে নিয়ে চলা যায় কিনা তা সময়ই বলবে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।