কলমের খোঁচা

বুথ থেকে ফিরে-


শান্তনু বোস,নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ:১৩ই এপ্রিল:- ভয়ঙ্কর এক অসম লড়াই। পশ্চিমবঙ্গের বাজার দখলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াকে ব্যবহার করা, বিশাল রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করা, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যমে জনমতকে বিভাজন করা, কর্পোরেট শক্তির বিরুদ্ধে বামপন্থী শক্তির এক অসম লড়াই। এই লড়াইয়ে বামপন্থী শক্তি সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হল। নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক না কেন, বামপন্থীরা ইতিমধ্যে জয়ী হয়ে গেছে।

গোটা রাজ্য জুড়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে বামপন্থীদের আসল প্রাপ্তিটা হল এক ঝাঁক তরুণ প্রজন্ম। রাজ্যস্তর থেকে শুরু করে পাড়ায় পাড়ায় এক ঝাঁক তরুণ তরুণী লাল ঝান্ডা নিয়ে চিৎকার করে বিকল্পের সন্ধান জানান দিয়ে গেছে। বামপন্থীরা জিতুক বা হারুক, এই চিৎকার ধ্বনিত হতে থাকবে বছরের পর বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। এবারের নির্বাচন নামক রাজনৈতিক সংগ্রাম বামপন্থার প্রবাহমানতাকে সুদৃঢ় করে রাখলো। কেন্দ্র এবং রাজ্য এই দুই প্রবল পরাক্রমশালী রাষ্ট্রশক্তি এবং তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ শক্তি আর পেশিশক্তি ব্যবহার করে তারা যদি একশো শতাংশ জনমত সংগঠিত করতে না পারে তাহলে তাদের লজ্জার সীমা থাকবে না।

নির্বাচনের শুরু থেকেই কর্পোরেট পুঁজি তার সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী বিশ্বস্ত চৌকিদারকে বারংবার এই রাজ্যে পাঠিয়েছে। শাসকদলের হেভিওয়েট নেতারা মাটি কামড়ে পড়ে থেকে প্রলোভনের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। এর পরেও যদি তাদের ভোটের শতাংশ পঞ্চাশ ছুঁতে না পারে তাহলে সেটাকে মানুষের মধ্যে থাকা সহজাত স্বাভাবিক বামপন্থার জয় হিসেবেই ধরতে হবে। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, ওদের শোষণ যন্ত্রের ওপর, ওদের তৈরি করা সিস্টেমের ওপর বামপন্থীদের আঘাত অব্যাহত থাকবে এই বার্তাই জানান দিয়ে রাখলো এই নির্বাচন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।