জেলা

বীরভূম জেলার খবর


রাহুল চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১৪ ই এপ্রিল:- ওরা বুঝেছে এই শেষ ১০ বছরে নেতারা ওদের মাথায় বেল ভেঙেই বড় বড় বাড়ি-গাড়ির মালিক সেজেছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সামান্যতম চাহিদাটুকু পূরণ করতে গিয়েও তাঁদের ও শুনতে হয়েছে কাটমানির গল্প। বঞ্চিত হয়েছে নিজের ন্যায্য পাওনা থেকে। আর হবে নাই বা কেন, শেষ পঞ্চায়েত ভোটেও তো বীরভূম দেখেছে কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার টুকুও কেড়ে নিতে হয়। আজ তাই মহঃবাজার এরিয়ার বড়াম গ্রামের বেশ কিছু যুবক তৃনমূল ছেড়ে সিপিআই(এম) পার্টিতে যোগদান করলেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস‍্য কমরেড অরুণ মিত্র।

গতকাল সকাল থেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরাও নিজেদের মত করে প্রচার সারেন। কীর্ণাহারের কাজী মার্কেট, মাস্টারপাড়া, নিমড়া গ্রামে প্রচারে নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের মোর্চা প্রার্থী শ্যামলী প্রধান।। সেখানে ছাত্র যুবদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। জেলার একমাত্র ময়ূরেশ্বর বিধানসভার সিটে লড়ছে মোর্চার আইএসএফ প্রার্থী কাশীনাথ পাল। তিনি বাজিতপুর অঞ্চলে মিছিল করে প্রচার করেন।

ইলামবাজার ব্লকের মঙ্গলডিহি অঞ্চলের রাঘাইপুর, চৌমন্ডলপুর, প্রসাদপুর, ছাতারবান্দী, খিরাই, গোরাপাড়া, হাঁসড়া বাস স্ট্যান্ড ও হাঁসড়া গ্ৰাম জুড়ে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মোর্চা প্রার্থী তপন হোড়ের প্রচারে এলাকার মানুষ দুহাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন। নলহাটি বিধানসভার রুদ্রনগরে প্রচার চালান মোর্চার ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দীপক চ্যাটার্জি।

এদিকে গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, রামপুরহাট পুরসভার কর্মীদের অফিস টাইমে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটপ্রচারে নামতে হুইপ জারি করার ও সেসব কর্মীদের ব্যালট পেপার অবোধ রাম নামে এক তৃণমূল কর্মীর হতে জমা করার নির্দেশ দিতে। আজ সেই সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপিং পাওয়া যায় যেখানে এই কথা গুলি বাতলে দিচ্ছেন তৃণমূলের রামপুরহাট শহর কার্যকরী সভাপতি সৌমেন ভকত। এর বিরুদ্ধে প্রমান সহ রামপুরহাট বিধানসভা এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে মেল করে অভিযোগ জানানো হয় সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে। মহকুমাশাসক আশ্বস্ত করেন এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।