চৈতালি নন্দী:চিন্তন নিউজ:১২ই জুলাই:–মুখ্যমন্ত্রী র স্বীকারোক্তি সিঙ্গুরের জমি তে কোনো চাষ হয়নি।।টাটার কারখানা কে হটিয়ে সিঙ্গুরের দখল নেবার পর মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন ঐ জমিতে কোনো চাষ হয়নি।পতিত জমির মতোই সেই জমি এখন ও পড়ে রয়েছে।
সিঙ্গুরের জমিকে চাষযোগ্য করে তা জমিদাতাদের ফেরত দিতে সরকার কে নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্নে বেআব্রু হয়ে যায় সরকারের সিঙ্গুর পর্ব।
জানা যায় জমি ফেরতের প্রথম বছরে 36% জমিতে চাষ হয়নি সিঙ্গুরে।আর ও ভয়ংকর অবস্থা হয় গতবছর এ,চাষ হয় মাত্রই 260 একর জমিতে।
যদিও জানা যায় সিঙ্গুরের জমিকে চাষযোগ্য করার জন্যে সরকারের উদ্যোগ এর কোনো অভাব ছিল না।সরকারি খরচে মাটি পরীক্ষা থেকে এককালীন টাকা ,বীজ,সার ,যন্ত্রপাতি সবই দেওয়া হয়ছিল।কিন্তু সিঙ্গুরের চাষীদের তরফে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।বিধান সভায় উঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে সবরকম সহযোগিতা সত্বেও চাষী রা যদি চাষ না করে তাহলে তিনি কি করবেন।
একসময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কৃষি কে ভিত্তি করে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আপামর রাজ্যবাসীকে।রাজ্যবাসীর অসংখ্য বেকার যুবক যুবতীদের সেই আশাকে ধুলিস্মাৎ করে টাটাকে রাজ্যছাড়া করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী।
আসলে শত প্রচেষ্টা সত্বেও ঐ জমিকে পুরোপুরি চাষযোগ্য করা যায়নি।সিঙ্গুর বাসী এখন সরকারের ভিক্ষান্নে প্রতিপালিত হয়।মুখ্যমন্ত্রী এখন সব দায় ঝেড়ে ফেলে আগের দেওয়া সব অঙ্গীকার অস্বীকার করতে চাইছেন।কৃষকের আয়ের মিথ্যা হিসাব তিনি পেশ করছেন।পর পর কৃষক দের আত্মহত্যা ও তাঁর সম্বিত ফেরাতে পারছেনা।
প্রকৃত পক্ষে সিঙ্গুর কে কেন্দ্র করে বাঙলার কৃষি ও কৃষক দের সর্বনাশ করা হয়েছে।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/07/IMG_20190712_104008-1080x642.jpg)