দেশ

দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক আশা কর্মীদের।


চিন্তন নিউজ, প্রতিবেদন- কল্পনা গুপ্ত, ২১ শে মে – করোনা যুদ্ধে প্রথম সারির কর্মীরা হ’লেন স্বাস্থ্যকর্মী। ডাক্তার, নার্সের সাথে আশা কর্মীরাও ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। বিশেষত আশা কর্মীরা নিজের গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি বাড়ির মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত খবর রাখার কাজে নিযুক্ত। শুধুমাত্র মা ও শিশু নয় বর্তমান অবস্থায় কারা করোনায় আক্রান্ত তাদের খুঁজে বার করার কাজ থেকে শুরু করে সঠিক উপায়ে পরীক্ষা, টীকাকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝানোর দায়িত্ব তাদের। এই প্রাথমিক স্তরের খুঁটিনাটি কাজ করেও আশা কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবেই রয়ে গিয়েছেন। কর্মীর মর্যাদা পাননি। সিটুর সর্বভারতীয় সচিব এ আর সিন্ধু বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

২০২০তে আশাকর্মীদের এক হাজার টাকা করে প্রতিমাসে ইনসেন্টিভ ঘোষণার পড়েও তা বাকি থাকছে মাসের পর মাস। তাছাড়া মাইনেও অনিয়মিত। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৮০ জনের বেশি আশা কর্মী, কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর গরীব কল্যাণ প্যাকেজ প্রকল্পের জীবনবীমার কোন টাকাই পায়নি বলে অভিযোগ আশাকর্মীদের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের।

এই সমস্ত দাবিতে আগামী ২৪ শে মে দেশজুড়ে একদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আশাকর্মীরা। তাদের অল ইন্ডিয়া কোঅর্ডিনেশনের এক কর্মী সুরেখা জানিয়েছেন, কোভিদের পরিস্থিতি মাথায় রেখেই যতটা সম্ভব ছোট আকারে সহকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চিফ মেডিক্যাল হেলথ অফিসগুলোতে প্রতিবাদ জানানো হবে।

জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ২০০৫ সালে এই আশা গঠন করা হয় মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, মহিলা, শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সাহায্যের জন্য। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঠিকভাবে ব্যবহারের পথ দেখানো এই আশা কর্মীদের সংখ্যা দেশজুড়ে প্রায় ১০ লক্ষ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।