রাজ্য

কার্ড পাঞ্চ করলেই কাউন্টারের নীচে দিয়ে বেরিয়ে আসছে খাদ্যের প্যাকেট।


কাকলি চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:২৫শে এপ্রিল:-বিনামূল্যে সকলকে রেশন দেওয়া হবে ঘোষণা হলেও প্রায় কোথাও মিলছে না প্রাপ্য রেশন। চুরি হয়ে যাওয়া বস্তা বস্তা চাল শোভা বর্ধন করছে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের বিলাসবহুল প্রাসাদের বৈঠকখানায় অথবা পার্টি অফিসে। সেই চালই কিছুটা প্যাকেটজাত হয়ে দলীয় পতাকায় আচ্ছাদিত হয়ে সমর্থকদের বিতরণ করা হচ্ছে আর বাকি চাল চোরাপথে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

চাল, ডাল ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য আরও কিছু অত্যাবশ্যকীয় সামগ্ৰী প্রয়োজন। শুরুটা হয়েছিল আগেই। কোচবিহার জেলার এক সাফাইকর্মী নিজ উদ্যোগে শুরু করেন সবজির এ টি এম। গ্ৰামের চাষীদের থেকে আনাজপাতি সংগ্ৰহ করে জমা করতেন বাজারে। সেখানে প্রয়োজনমত বিনামূল্যে সবজি পাচ্ছেন অভাবী মানুষেরা। পরে আরও অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

নিরলসভাবে বামপন্থীরা আছেন প্রান্তিক মানুষের সাহায্যার্থে। এবার উদ্যোক্তা ফরোয়ার্ড ব্লকের এক কর্মী—হাসানুজ্জামান চৌধুরী, বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। তিনি দুরকম ধাতব কুপন চালু করেছেন। দেগঙ্গা ব্লকের ২৫৫ টি বুথের প্রতিটি দুঃস্থ পরিবারে গিয়ে দুটি করে কুপন দিয়ে এসেছেন। একটি কুপনে পাওয়া যায় চাল, ডাল , আলু এবং অন্যটিতে আটা ও শিশুদের জন্য দুধের প্যাকেট। বিগত সাত দিন ধরে কয়েক হাজার মানুষ এই এ টি এম এর সুবিধা নিচ্ছেন। ভাইরাস মোকাবিলায় দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে এই এ টি এম। লোহার বড় একটি কাঠামো তৈরি করে ঢেকে দিয়েছেন টিন দিয়ে। তার মধ্যে খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট করে রাখা হচ্ছে। সামনে দুই দিকে আছে কুপন পাঞ্চ করার জায়গা। কাউন্টারের পিছনে এক ব্যক্তি আছেন। কার্ড পাঞ্চ করলেই কাউন্টারের নীচে দিয়ে বেরিয়ে আসছে খাদ্যের প্যাকেট। কাউন্টারের সামনে থেকে ঐ ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে না।

সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভিয়েতনামে আমরা আগেই শুনেছিলাম চাল এর এ টি এম এর কথা। ভালো লাগে ভাবতে যে খুব ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও আমার রাজ্যেও সকলের জন্য না হলেও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের প্রচেষ্টায় চালু হয়েছে অনুরূপ ব্যবস্থা। আগামী দিনে এই বার্তা উদ্বুদ্ধ করবে অন্যদের, সাধুবাদ জানাই এই উদ্যোগ কে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।