কলমের খোঁচা

দেশসেবাব্রতী অরুণা আসফ আলির জন্মদিনে চিন্তনের শ্রদ্ধার্ঘ্য।


চিন্তন নিউজ,  প্রতিবেদনে কল্পনা গুপ্ত, ১৬ ই জুলাই, ২০২১  – ১৯০৯ সালের ১৬ ই জুলাই পাঞ্জাবের কালকায় অরুণা গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম হয়। ব্রাহ্ম পরিবারের মেয়ে ছিলেন তিনি। ব্রাহ্মসমাজের এক৷ বিশিষ্ট নেতা এবং ব্রাহ্ম সঙ্গীত রচয়িতা ত্রৈলোক্যনাথ সান্যালের মেয়ে অম্বালিকা দেবীর সন্তান অরুণা। অরুণার পিতা উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। এই পরিবারটি বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় বসবাস করতো। অরুণার কাকা নগেন্দ্রনাথের সাথে রবীন্দ্রনাথের ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছিলো। ১৯২৮ সালে দেশসেবী ও মুক্তিসংগ্রামী আসফ আলির সাথে তাঁর বিয়ে হয়।

অরুণা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী,  রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষাবিদ ও প্রকাশক। তাঁকে ” ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নায়িকা” বলা হতো। তিনি নৈনিতাল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কলকাতায় গোখেল মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্বামীর হাতধরেই তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের  সদস্য  হন। বিয়ের দুবছরের মধ্যেই তিনি লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে কারারুদ্ধ হন। ১৯৩১ সালে মুক্তি পান। এরপর ১৯৪২- ১৯৪৬ সাল অবধি  তিনি গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। তাঁকে ” গান্ধীর রাজনৈতিক সন্তান কিন্তু কার্ল মার্ক্সের বর্মান ছাত্র” হিসাবে বর্ণনা করা হতো। পরবর্তী সময়ে  ভারতীয় নৌসেনাদের বিদ্রোহকে সমর্থন করে তিনি গান্ধীজির দ্বারা সমালোচিত হন।

১৯৫৪ সালে ভারতীয় কম্যুনিস্ট দলের মহিলা বিভাগ ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন প্রতিষ্ঠায় যুক্ত হন। কিন্তু ১৯৫৬ সালে ভারতীয় কম্যুনিস্ট দল ত্যাগ করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি দিল্লির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে আন্তর্জাতিক লেনিন শান্তি পুরষ্কার পান, ১৯৯১ এ জওহরলাল নেহেরু এওর্যাড ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্টান্ডিং সম্মানে ভূষিতা হন। ১৯৯২ সালে পদ্মভূষণ  খেতাব পান। বিয়াল্লিশের যুগান্তকারী সংগ্রামী অরুণা আসফ আলীর মৃত্যু হয় ১৯৯৬ সালের ২৯ জুলাই। ১৯৯৭ সালে তাঁকে ভারত রত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।