বিশেষ প্রতিবেদন- সীমা বিশ্বাস, আসাম:–চিন্তন নিউজ:৮ই সেপ্টেম্বর:– আজ ভূপেন হাজারিকার জন্মদিন। চিন্তনের পক্ষ থেকে একুশ শতকের বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী, সর্বজন প্রিয়,সুধাকন্ঠ ভূপেন হাজারিকার স্মৃতির প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে ভারতীয় পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্নের সঙ্গে’দাদা সাহেব ফালকে’ পুরষ্কার লাভ করা কেবল দু’জন ভারতীয়, একজন হলেন সত্যজিৎ রায় এবং আরেকজন হলেন ভূপেন হাজারিকা।
সঙ্গীত সাধনা তাঁর জীবনের ব্রত ছিল। সঙ্গীতের মাধ্যমেই তিনি অতি সহজে মানুষের হৃদয়ে স্থান পেতে সক্ষম হয়ে ছিলেন।এইজন শিল্পী অসমের গীতি সাহিত্যকে সর্বভারতীয় স্তরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ভূপেন হাজারিকার গানে মানবীয় প্রমূল্যবোধ পূর্ণ রূপে বিকশিত হয়েছে। তাঁর গানে প্রকাশিত হয়েছে চিরাচরিত বাসনা-বৈভব, কল্পনা বিলাসের বিপরীতে সৃষ্টি করা এক প্রকৃত মানবতা বাদ প্রশস্তির চির শাশ্বত ধ্যান। তাঁর বিখ্যাত গান_—-মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু।। গানের মাধ্যমে উনি দিতে চেয়েছিলেন এক অগতানুগতিক আহ্বান। ধ্বংসমুখী দৃষ্টিভঙ্গি কিম্বা মনোমালিন্য, জাতিভেদ,অপ্রীতি পরিহার করে শান্তি,ঐক্য-সমদ্ধির এক জগত গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যেখানে প্রকাশ পেয়েছিল নির্ভেজাল মানবতাবাদ। ‘
ধ্বংসমুখী দৃষ্টি ভঙ্গি/ কিম্বা মনোমালিন্য।/সেয়া
নহয় মোর গানর লক্ষ্য/ লক্ষ্য শান্তি অনন্য।
ভূপেন হাজারিকা সমাজ জীবন থেকে সংগ্রহ করতেন গানের কথা।অসমে গণনাট্য সংঘের প্রতিষ্ঠা লগ্নে তিনি ছিলেন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।১৯৬০সালে ভাষা দাঙ্গায় বিপর্যস্ত আসামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তিনি হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে সারা আসামে সঙ্গীতাভিযান চালিয়েছিলেন। তিনি আসাম মাকে মহাভারতের মিষ্টি কন্যা বলে অভিহিত করে ছিলেন। গানেই তার প্রকাশ পেয়েছে…’অসম আমার রুপহী,গুণরো নাই শেষ/ ভারতরে পূর্ব দিশর সূর্য উঠা দেশ’। ভূপেন হাজারিকা উনার অমর সৃষ্টি রাজির মধ্যে বেঁচে থাকবেন।