কলমের খোঁচা

সত্য সেলুকাস! – রঘুনাথ ভট্টাচার্য


আবেগে যখন বেগের প্রাধান্য হয়, তখন সেটা আর আবেগ থাকে না,সেটা তখন শুধুই বেগ।
হে প্রধান পুরূষ! তুমি বেগবান হয়ে জাতিকে যে উপহার দিলে,তার দুর্গন্ধে দশদিশি আচ্ছন্ন।
ভোটের বাজারে বেশ তো চলছিল ‘জুমলার’ দেওয়া নেওয়া। এর মধ্যে তোমার সার্জিকাল স্ট্রাইকে দিগ্বিদিক ধূম্রাকার। জনগন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কোনদিকে দৌড়বে ভেবে পাচ্ছে না। এত প্রায় পরমাণু
বোমা বিস্ফোরণের সমান। দহনক্রিয়া ধিকিধিকি জ্বলতেই থাকবে।
অনেক ‘ চা বিক্রেতা ‘কেও বলতে শোনা যাচ্ছে – ‘ ছ্যা ছ্যা, এতো একেবারে কাপড়ে চোপড়ে , মাইরী।’

সে তো বটেই। কিন্তু সমস্যা সেটা নয়।কারণ আমরা বলছি,- তার ধূতি নষ্ট হোলো, সে বুঝে নিক! ফেলে দেবে, নাকি ধুয়ে পড়বে? তবে কথা হোলো, হলুদ দাগ তো থেকেই যায় কিনা!
আমরা বিচলিত অন্য কারণে।প্রচুর ভারতীয় প্রতিভা আজ স্বদেশে পূজো না পেয়ে , বিদেশে থিতু হয়েছেন। তাঁরা সকলেই আমাদের অনেকেরই বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন। তাঁরা অতি না হেনস্থা হবেন, শুধুমাত্র ভারতীয় হবার কারণে। বিদেশের নাগরিক হয়ে গেলেই তো আর জন্মদাগ মেলায় না! তাই না? তাদের সে দেশের বন্ধুবান্ধব কি আর ছেড়ে কথা কৈবে। জবাবদিহি করতে করতে প্রায় ওষ্ঠাগত হবে।

এত কথা কৈতাম না, যদি না দু’দিনের পূরণো কাগজে (TT/06.05) একটা ছোট্ট চিঠি চোখে পড়ত। যতটা সম্ভব বাংলায় অনুবাদ করা গেল। –
” দেখতে পাচ্ছি, এক মৃত দেশপ্রেমীকে উপহাস করার জন্য লোকে মোদীকে নস্যাৎ করছেন। ওরা বলছেন, ব্যাপারটায় মোদীর হীনতা প্রতিভাত হল, ওঁর হতাশা-জনিত মরিয়া ভাব ধরা পড়ে গেল,ওর মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত পাওয়া গেল। কিন্তু, করে।ক্যাম্পের আমেরিকায় প্রবাসী এমন একজনের প্রতিক্রিয়া – ‘ ব্যাপারটা কত সরল নেবেন না, প্লীজ। এটা(আমাদের পক্ষে) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন, এটা শুধু মোদীবাবুর কিস্যা নয়! এটা সারা ভারত ও ভারতীয়দের সম্পর্কে এক বিরূপ প্রতিভাস বৈ নয়।”(চিঠি লিখেছেন, আমেরিকায় স্থিত এক ঐতিহাসিক ও লেখক – Audrey Truschke)

সাধুজন বুঝব সন্ধান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।