গোপা মুখার্জী : চিন্তন নিউজ :৩০মে:-একেই দফায় দফায় লক ডাউন তার উপর ঘূর্ণি ঝড় আমফানের সর্বনাশা আক্রমণে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মানুষ যখন বিপর্যস্ত ঠিক তখনই মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো এই জেলার বজবজ পৌরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের হেতালখালি , চিত্রিগঞ্জ এলাকার একটি জুটমিলে বুধবার সাসপেনশন অফ অর্ডার এর নোটিশ ঝোলানোকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মিল সংলগ্ন এলাকা ।
করোনা এবং আমফানের প্রকোপ কাটিয়ে ‘চেভিয়ট কোম্পানি লিমিটেড ‘ নামে জুট মিল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রতিদিন আট ঘন্টার জন্য কাজ চালু হবে । এতে শ্রমিক মহলে দেখাদিয়েছিল খুশির হাওয়া ।কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষের দাবী ছিল এই আট ঘন্টার মধ্যে কোনো টিফিন আওয়ার্স থাকবে না ।কতৃপক্ষের এই অমানবিক দাবী মানতে রাজী ছিল না শ্রমিকপক্ষ । বুধবার সকালে শ্রমিকরা কাজে গিয়ে গেটে বন্ধের নোটিস দেখে তাদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে । ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা এবং মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ।মিল কর্তৃপক্ষ বজবজ থানায় খবর দিলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায় এবং শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে মিল গেটে লাঠি চালায় ।
অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে মিল সংলগ্ন শ্রমিকদের অস্থায়ী বাড়িতেও পুলিশ গিয়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে লাঠি চালায় । যাতে বেশ কিছু মহিলা ও পুরুষ আহত হন । অবশ্য পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশ কে দেখে ভয় পেয়ে মিল শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকেই প্রথম ইঁট বৃষ্টি করা হয় ।তাই বাধ্য হয়েই পুলিশ লাঠি চালায় । এই ঘটনায় আট জন শ্রমিককে পুলিশ আটক করেছে । শুক্রবার স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে কথাবার্তা বলে মিল খোলার পুনরায় চেষ্টা করা হবে বলে মিল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করলেও কার্যত বন্ধই হয়ে গেল বজবজের আরো একটি জুট মিল ।
বিশেষ সূত্রে খবর, বজবজ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস সিনহা মহাশয় অভাব-অনটন ক্লিষ্ট অসহায় শ্রমিকদের পরিবার কে কথা দিয়েছেন যে যত শীঘ্র সম্ভব উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি মিল খোলার চেষ্টা করবেন । আরো বলেছেন মিল কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা ও মিটিয়ে ফেলা হবে । সোমবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে ।