শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

চিকিৎসার গাফিলতিতে এক মহিলার মৃত্যু-অভিযোগ উঠলো চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:০২/০২/২০২৩:- প্রায় সবসময় পশ্চিমবঙ্গ এর স্বাস্থ্য মন্ত্রী র মুখে পশ্চিমবাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির কথা শোনা যায় । নানারকম সুযোগ সুবিধার ও কথা শোনা যায় । কিন্তু প্রায়ই সরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু বা চিকিৎসা র অব্যবস্থার সন্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ । এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ।

বছর ছেচল্লিশ এর শ্রাবনী ধর ভদ্রেশ্বরের এস এন রোড শরৎপল্লীর বাসিন্দা ছিলেন । গত ২৮ শে জানুয়ারি তিনি স্পন্ডেলাইসিস এর ব্যাথা নিয়ে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন । কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয় । শ্রাবনী ধর এর স্বামী সুদেব ধর জানান যে পুরোপুরি চিকিৎসার অব্যাবস্থার কারণে শ্রাবনী ধর এর মৃত্যু হয়েছে । তিনি আরও জানান যে মঙ্গলবার সকালে ও তিনি তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন এবং শ্রাবনী ধর তখন সুস্থ ই ছিলেন কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি থাকার অবস্থায় ছিলেন । এরপর সুদেব বাবু বিকেলে যখন হাসপাতালে যান তখন অবস্থা অনেকখানি বদলে গেছে । তিনি গিয়ে দেখেন শ্রাবনী ধর এর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো । কিন্তু ধারে পাশে কোন ডাক্তার বা নার্স ছিলেন না । তিনি গিয়ে জানতে চান তাঁর স্ত্রীর অবস্থা কি রকম পর্যায়ে আছে । তখন নার্সরা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি । জোরাজুরি করলে তখন নার্স রা চিকিৎসককে খবর দেন। ডাক্তার বাবু আসলে নার্স রা সুদেব বাবু কে রোগীর ঘর থেকে বের করে দেন । এরপর ডাক্তার বাবু চলে গেলে সুদেব বাবু আবার শ্রাবনী দেবীকে দেখতে যান । তখন স্ত্রীর গায়ে হাত দিয়ে দেখেন স্ত্রীর গা পুরোপুরি ঠান্ডা । বুঝতে পারেন তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন । কোন ডাক্তার বা নার্স শ্রাবনী ধর এর মৃত্যু কিভাবে বা কখন হয়েছে তার স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বা জানান নি । সুদেব বাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ যে শ্রাবনী দেবী র চিকিৎসা ঠিকমতো হয়নি যদি চিকিৎসা হতো তাহলে এইভাবে শ্রাবনী দেবীর মৃত্যু হতো না । আরও বড়ো প্রশ্ন কেন চিকিৎসক বা নার্স রা সরাসরি মৃত্যুর কথা জানালেন না পরিবারের সদস্যদের ।

খবরে প্রকাশ যে শ্রাবনী দেবীর মৃত্যু র খবর রটতেই মহিলা ওয়ার্ড এ তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় । পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কি কারণে শ্রাবনী দেবীর মৃত্যু হলো তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে । সুদেব বাবু জানান যে তিনি অত্যন্ত গরীব তাই হাসপাতালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই তিনি শুধু দোষীদের শাস্তি চান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।