রাজ্য

অবাধ তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৩০শে জুন:- অবাধ তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। লকডাউন উঠে যেতেই গত বৃহষ্পতিবার একদল তৃনমুল এর গুন্ডা বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র,লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ডায়মন্ডহারবার ২ব্লকের আইএফবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রির লিমিটেড এর কারখানায়। তোলা চেয়ে এবং তা না পেয়ে কারখানার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এই গুন্ডা বাহিনী এমন তান্ডব চালিয়েছে কারখানাতে যে ভয়ের চোটে আধিকারিক থেকে কর্মচারী কেউই কারখানার গেটে পা দিতে ভয় পাচ্ছেন। প্রতিবারের মতো এবারও পুলিশ নির্বিকার দর্শক এর ভূমিকা পালন করে গেছে। পশ্চিমবাংলাতে যেখানে কাজের অভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিন দেশে কাজে যায় সেই রাজ্যে একটা চালূ কারখানার ভিতরে ঢুকে স্রেফ তোলা না পেয়ে যেভাবে ভাঙচুর চালালো প্রশ্ন তো ওঠেই পুলিশ কেন নীরব দর্শক? এই সহজ একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো ডায়মন্ডহারবার এর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর।। আজ ঘটনা ঘটার এতদিন পরেও তাঁর মুখে কুলুপ।।এই ভয়ানক ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন সেই মেহেবুব গায়েন সদর্পে বলে বেড়ান তিনি যুবরাজ এর বন্ধু। আর এটাই স্বাভাবিক যে হাজার অন্যায় করলেও যুবরাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কে কি খুঁজে পাওয়া যায়? যতই সে পুলিশের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াক না কেন? কারখানার এই ঘটনার কথা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দোলা সেনকেও জানানো হয়েছে , এই বিষয়েটিতে তিনি একেবারেই নিশ্চুপ। তাহলে এই ঘটনার পিছনে কে? আসানসোল রাণীগঞ্জ এলাকা কোলিয়ারি এলাকা। এই কোলিয়ারির খোলামুখ থেকে কয়লা নির্বিবাদে তোলা হয় আর একটা নির্দিষ্ট ঠিকানায় তোলাবাজির টাকা যদি পৌঁছে যায় তবে কিভাবে যুবরাজ কথা বলে?

গত আট বছর আগে একদল দুর্বৃত্ত মাথায় হনুমান টুপি পড়ে বেসরকারি এক আধিকারিক এর উপর হামলা চালিয়েছিল। তাঁকে অপহরণ ও করা হয়।।আর এর ফলে হলদিয়া ছেড়ে চলে যায় পন্য খালাসে যুক্ত সংস্থা এজিবি।। এর ফলে শুধু ওই বছরেই হলদিয়াতে লোকসান হয় ২০০/-. কোটি টাকা। ওই সময় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দাম্ভিক আচরণ করে বলেছিলেন যে তিনি শুরুতে বিশ্বাস করেন না শেষে বিশ্বাস করেন।

আইবিএফ সংস্থার এক আধিকারিক এর স্পষ্ট বক্তব্য কারখানা খোলা খুব প্রয়োজন। যেমন প্রয়োজন কর্মী বা আধিকারিকদের নিরাপত্তা দেওয়া টা। শিল্পের যদি পরিবেশ না থাকে কর্মী , আধিকারিকরা ভয়ে ভয়ে কাজে আসেন তবে শিল্প পরিবেশ কি করে বজায় থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় প্রশাসন বা তৃণমূল দল একবারও মুখ খোলেনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।