রাজ্য

ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযান দমনে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা এবং আইন :-



মধুমিতা রায়: চিন্তন নিউজ:১৭ই ফেব্রুয়ারি:-
সকলের জন্য শিক্ষা, সকলের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শূন্যপদে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগের দাবিতে নবান্ন অভিযানে নামে রাজ্যের ১০ টি বাম ছাত্র যুব সংগঠন। দেশ ও রাজ্যের ভ্রান্তনীতির ফলে দিশাহীন লক্ষ লক্ষ ছাত্র যুবক ।

প্রায় তিরিশ হাজার ছাত্র যুব সেদিন নবান্ন মুখী হন ডেপুটেশনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বেকার ছাত্রযুবরা রাজপথে নামলে নবান্নের বহু আগেই কার্যত ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার ভঙ্গি নিয়ে মারমুখী হন রাজ্যের দলদাস পুলিশ। চারদিকে ঘিরে রেখে নৃশংস্যভাবে আক্রমণ করা হয় ছাত্রযুবদের । শান্তিপূর্ণ একটা মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে জলকামান , টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। এতেও প্রতিহত না করতে পেরে লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশি আইনে পরিভাষা পাল্টে যায় প্রতিহত করার রোষে। পায়ে লাঠিচার্জ না করে সেই আঘাতে ঘায়েল করা হয় ছাত্রযুবদের মাথা লক্ষ্য করে। কারো মাথা ফেঁটে রক্তাক্ত হয় তো কারো চোখ । যুবতী কমরেড রাও পুরুষ পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়। জলকামানের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ ব্লিচিং ও গ্যামাক্সিন মেশানো হয়। এর কারনে ত্বকজনিত সমস্যা র শিকার হন আন্দোলনকারীরা । আন্দোলন প্রতিহত করার নামে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে নেমে মানবাধিকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ।

হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জী বলেছেন “ পুলিশ কমিশনারের জেল হওয়া উচিত। কোলকাতা পুলিশ জানেইনা কিভাবে লাঠিচার্জ করতে হয়। কর্তব্যরত চার হাজার পুলিশকেই সাসপেন্ড করা উচিত।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পথে নেমেছিল সেদিন ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।