কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:৩০শে জুন:- কোভিড১৯ ভাইরাস আক্রান্তের ক্ষেত্রে সুস্থতার হার বাড়ছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকলেও সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যাপারে এখনও কোনো সদর্থক বার্তা নেই। করোনা ভাইরাসজনিত লকডাউনের বিধিনিষেধ বিশ্বব্যাপী শিথিল করা হ’লেও সংক্রমণের হার মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দেশেই কমেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এজন্য মার্কিন রাজ্যগুলি পুরোপুরি লকডাউন নিষিদ্ধ না করে ধাপে ধাপে নিয়মাবলী লঘু করার দিকে এগোতে চাইছে।
ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে আনলক ২ পর্যায় শুরু হয়েছে। আনলক১ এর সঙ্গে আনলক ২ এর অমিল খুব সামান্য, কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। কেরালাকে বাদ দিলে লকডাউন সফল করার জন্য কোনো রাজ্যের প্রশাসনই সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অস্থির সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ মানুষকে বাধ্য করেছে রাস্তায় নামতে। বেসরকারি সংস্থায় অস্থিরতা, বেতন না দেওয়া, ছাঁটাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে জনমানসে। চরম ব্যর্থ কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে টালবাহানা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে বাধ্য করেছে সাধারণ মানুষকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া এখনও মোটেই নিরাপদ নয় হু’ এর মতে। চীনকেও এই তালিকায় ফেলা যেতে পারে কারণ বেজিং এ পুনরায় সংক্রমণ বেড়েছে। সোয়াইন ফ্লু এর ক্ষেত্রেও এক নতুন আ়শংকা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হু’ যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করে দেশগুলোকে যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত, জোরদার করতে অনুরোধ জানিয়েছে।