সায়ঙ্ক মন্ডল:-চিন্তন নিউজ:-৩০ শে জুন:- দিনকয়েক আগের কথা। কর্নাটক হাইকোর্টের এজলাসে দাঁড়িয়ে এক ধর্ষিতা। মহামান্য বিচারক তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘মহিলা হয়েও আপনি রাত ১১টায় কেন অফিস গিয়েছিলেন? মদই বা খেয়েছিলেন কেন?’ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সামনে এক ধর্ষিতাকে আদালতের মাঝে দাঁড়িয়ে হয়ত এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু রাতে অফিস না গেলে আর মদ না খেলেই কি থেমে যাবে ধর্ষণ? প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গুয়াহাটি হাইকোর্টের এক বিচারপতির মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে বিচারপতি মহিলার উদ্দেশে বলেন, ‘শাঁখা-সিঁদুর পরেন না, মানে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানই মানেন না মেয়েটি!’ বিচারপতির এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের কিছু মাস পরেই ওই মহিলা জয়েন্ট ফ্যামিলি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। মহিলার স্বামীর অভিযোগ, আলাদা থাকতে চাওয়ার দাবি নিয়ে বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। যা দু’জনের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে। এমনকী ওই মহিলা সন্তান নিতেও চান না বলে অভিযোগ করেন স্বামী। এর কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন মহিলা। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, স্বামীর পক্ষের কারও এই ঘটনায় কোনও দোষ নেই।