রাজ্য

কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ রায়গঞ্জে


মৌসুমী চক্রবর্তী, চিন্তন নিউজ, ১৮ এপ্রিল; পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভার অধীনে আব্দুল ঘাটা এ পি এস বুথে ভোট কর্মীরা পৌঁছালে গ্রামবাসীরা সেন্ট্রাল বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। তারা জানায় যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই বুথে অবাধে ছাপ্পা এবং বুথ দখল চলেছিল ফলে তারা কোনমতেই রাজ্য পুলিশের অধীনে ভোট প্রক্রিয়া শুরু করতে দেবেন না। এর ফলে পোলিং অফিসার সেক্টর অফিসে রিপোর্ট করলে তারা এসে পোলিং অফিসারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ভোট প্রক্রিয়ার জন্য তারা যেন বুথে প্রবেশ করে কাজ শুরু করেন। এই দোটানায় পড়ে পোলিং পার্টির প্রিজাইডিং অফিসার জ্ঞান হারান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এই অবস্থায় অন্যান্য পোলিং পার্টিরা আতঙ্কে রয়েছেন। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে পোলিং পার্টিকে বুথে প্রবেশ করে কাজ শুরু করার জন্য হুমকি দিয়ে চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
পোলিং পার্টির পক্ষ থেকে ঐক্য মঞ্চের কাছে সম্পূর্ণ বিষয় জানিয়ে ফোন এলে শিক্ষক – শিক্ষাকর্মী – শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন যে, তারা পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে অবিলম্বে ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দাবি জানিয়ে চিফ এলেক্টরাল অফিসারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সেই ব্যবস্থা না করে পুলিশ এবং সেক্টর অফিসের পক্ষ থেকে পোলিং অফিসারদের প্রতি হুমকি বা ভয় দেখানোর তীব্র বিরোধিতা করে তারা জানিয়েছেন যে, পোলিং অফিসারদের প্রতি যদি কোন দুর্ব্যবহার বা মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং কোন অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে তাহলে তার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী থাকবে নির্বাচন কমিশন এবং তারা এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন, সে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ওই বুথের পোলিং অফিসারদের সঙ্গে তারা সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের আশ্বস্ত করেন যে পুলিশের হুমকির কাছে মাথা নত না করে আপনারা সরাসরি রিপোর্ট করুন এবং তাঁরাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেছেন। চাকরি খেয়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। এর মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষক – শিক্ষাকর্মী – শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ সর্বতোভাবে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। সারা রাজ্যে কোন একজন পোলিং অফিসারের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটলে রাজ্যজুড়ে পরিস্থিতি উত্তাল হবে।
এ ঘটনা আবার প্রমাণ করলো যে সারা রাজ্য জুড়ে ঐক্যমঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ সুনিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা কতটা বাস্তবসম্মত। অবিলম্বে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা ভোট পরিচালনার ব্যবস্থা করুক নির্বাচন কমিশন। না হলে এরকম বহু ঘটনা ঘটতে থাকবে ভবিষ্যতে এবং তার সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।