সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১১ই জানুয়ারি:– ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি ক্ষেত্রেই নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান প্রশাসন। কিন্তু আজ দশ বছর কেটে গেছে কোন প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেন নি। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিশ্রুতি পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বেতন কাঠামো পরিবর্তন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা ছিল তিনি ক্ষমতায় এসেছেন আস্তে আস্তে সব পার্শ্ববর্তী শিক্ষকদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে এবং বেতন কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হবে। কিন্তু আজ দশ বছর প্রায় হতে চলল , তৃতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন আর কয়েক দিন এর মধ্যে কিন্তু পার্শ্বশিক্ষক দের বেতন কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয়নি।। আজ চব্বিশ দিন ধরে দিনরাত এই প্রবল ঠান্ডায় বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।। খবরে প্রকাশ আপার প্রাইমারি শিক্ষকদের মাইনে ১১’৩০০ টাকা এবং প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক দের বেতন ৮৮০০ টাকা।।
পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ মিশ্রের কথায়, তাঁরা যা বেতন পান তাতে কিছুতেই একটা সংসার চলে না। আর এই নিয়েই আজ ঘটে গেল এক মারাত্মক দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পঞ্চাশ বছর বয়স্ক দুলাল চন্দ্র দাস আজ ষোল সতেরো বছর পার্শ্বশিক্ষকতার কাজ করছেন।।ছাত্র পড়িয়ে চলেছেন দিনের পর দিন। কিন্তু তাঁর সংসারে আসেনি স্বচ্ছলতা।তার উপর তাঁর নানারকম অসুস্থতার শিকার। সরকার এর কোন চেষ্টা করেনি এই আন্দোলন মেটানোর।
মেদিনীপুর জেলার দুলাল চন্দ্র দাস ২০০৪ সালে এই পার্শ্বশিক্ষক কাজ শুরু করেন; তারপর থেকে আর তাঁর বেতন কাঠামোর পরিবর্তন হয়নি। বিকাশ ভবনের সামনে তিনিও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন।। কিন্তু আর শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না। গত মঙ্গলবার তিনি আত্মহত্যা করতে বিষ খান। তারপর এই ক’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন। তাঁর মৃত্যু হয়।
এই নিয়ে ১৮৪ জন অভাবে পড়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ দিনের পর দিন আন্দোলন করছে যে শিক্ষকরা তাদের সাথে কোনরকম যোগাযোগ বা আলোচনা করার চেষ্টা করেনি বর্তমান রাজ্য সরকার।