জেলা

আবার অমানবিক পুলিশ।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৫শে এপ্রিল:- আবার সামনে এল পুলিশের অমানবিক আচরণ ভিলেজ পুলিশের বেপরোয়া লাঠি চালানোর ফলে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ বছর বয়স্ক শেখ আবদুল্লা নামে এক ব্যাক্তির।।

ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার খানাকুলের ভেলুয়া গ্রামে।। খবরে প্রকাশ অতি নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন এই শেখ আবদুল্লা।। গ্রামের লোকজন দের অভিযোগ এদিন ভিলেজ পুলিশ গ্রামের মধ্যে ঢুকে বেপরোয়া ভাবে লাঠি চালাতে শুরু করে।। কিছু মানুষ নিজের প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন।।

যেহেতু রমজান মাস শুরু তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন।। আচমকা পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে সবাই ছোটাছুটি শুরু করে এবং নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করে।। শেখ আবদুল্লা এই সময় দিশাহারা হয়ে পড়েন।। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান।। পুলিশের তান্ডব শেষ হ’লে গ্রামবাসীরা আবদুল্লার কাছে যান এবং দেখেন তিনি নিঃশব্দে পড়ে আছেন।। বহু ডাকাডাকিতেও তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না।। তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ও কিছু গ্রামবাসী বহু কষ্টে একটা গাড়ী যোগাড় করে আরামবাগ হসপিটালে নিয়ে যান।। সেখানকার ডাক্তার বাবু রা জানান বহুক্ষণ আগে শেখ আবদুল্লার মৃত্যু হয়েছে।।

তৃনমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই শেখ আবদুল্লার পুলিশের লাঠিচার্জে মৃত্যু হয়নি।। হার্ট এ্যাটাকের ফলে মৃত্যু ঘটেছে।। আরামবাগ হসপিটালে র ডাক্তার বাবু রা মৃতদেহ পোস্টমর্টেম না করেই দেহ গ্রামের মানুষ এর হাতে তুলে দেয়। হুগলি জেলার সিপিআইএম সম্পাদক দেবু ঘোষ এই অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।।

গ্রামের মানুষজন জানিয়েছেন ওইদিন শেখ আবদুল্লা রমজান মাস শুরু হবে তাই জিনিস পত্র খরিদ করতে মুদিখানায় যাচ্ছিলেন।। লকডাউন এর কোন নিয়ম তিনি ভাঙেন নি।। পুলিশ অকারণ এ লাঠিচার্জ করেছে।। শেখ আবদুল্লা র মতো একজন নিরীহ মানুষ পুলিশ এর লাঠির আঘাতে নিহত হয়েছেন আর তার ফলে গ্রামের মানুষদের অভিযোগ এর উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।