রাজ্য

প্রচার আর সরকারি বাক্ বিতন্ডার আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে ক্ষুধার্ত মানুষ


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:২৫শে এপ্রিল:- জাতীয় বিপর্যয় চলাকালীন ঝগড়া, হুঁশিয়ারি, পত্রাঘাত রাজ্যের দুই সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে। কোভিড১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে বলা, বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন(ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য), হসপিটাল ও কোয়েরেন্টাইন সেন্টারগুলোর দুরবস্থা, ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পি পি ই, মাস্ক, স্যানিটাইজারের অপ্রতুলতা—-এসবের মধ্যে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক টীমের আগমন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে, রাজ্য সরকার সমালোচনা, বিরোধিতা সত্ত্বেও বাধ্য হয়েছে পরিদর্শনে সাহায্য করতে।

সংবাদমাধ্যম, মিডিয়া ব্যস্ত এইসব আলোচনায়।কিন্তু কর্মহীন গরীব মানুষদের জন্য তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ঘোষণা সত্ত্বেও রেশনে মিলছে না প্রাপ্য সামগ্ৰী। কিন্তু বামপন্থী দল ও গণসংগঠনগুলো বিপর্যয়ের শুরু থেকে এই প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে চলেছে নিরন্তর। না, কোনো মিডিয়া এদের দেখানোর প্রয়োজন মনে করে না, কোনো দলীয় পতাকা ছাড়াই কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এই কর্মকান্ড। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বামপন্থীদের তফাৎ এখানেই।

লকডাউন পর্বে সি. পি. আই.(এম).সোনারপুর উত্তর এরিয়া কমিটির পার্টি কর্মীরা এরিয়া সম্পাদকের উদ্যোগে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন মানুষের পাশে থাকার। আজ এরিয়া কমিটির অন্তর্ভুক্ত শ্রীখন্ডা গ্ৰামে প্রায় ২৫০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব সমীর হালদার, আশিস চ্যাটার্জি, মহিলা নেত্রী ডালিয়া চ্যাটার্জি, যুব নেতৃত্ব গৌতম রায়, শুভংকর পাল, শ্যামল চক্রবর্তী, গণ আন্দোলনের নেতা বিশ্বজিৎ মন্ডলের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক অপূর্ব কুমার মন্ডলের উপস্থিতিতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় আজকের কর্মসূচি। আগামী দিনেও এইভাবে সাধ্যমত পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন কর্মীরা। আশ্বস্ত হন সাধারণ মানুষ। খুশির অভিব্যক্তি তাঁদের চোখেমুখে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।