দেশ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে ভারতে সিএএ-র প্রয়োজন ছিল না।


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২০শে জানুয়ারি:–ভারতে সিএএ র কোনো প্রয়োজন ছিলনা বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।।ভারতে সংশোধিত নাগরিক পঞ্জীর কোনো প্রয়োজন ছিলনা মন্তব্য করে, সুকৌশলে সিএএ বিরোধীদের পক্ষ নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যদিও এই মন্তব্য করার সময় তিনি সুচিন্তিত ভাবেই নরেন্দ্র মোদির নাম এড়িয়ে গিয়েছেন।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি পরিষ্কার জানান, যদিও সিএএ ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় তবুও, তিনি বুঝতে পারছেন না ভারতে কেন সিএএ করা হোলো। এই সংশোধিত নাগরিক পঞ্জীর প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধেও তিনি সন্দিহান। তাছাড়া সিএএ ও এনআরসি র কারণে বহু ভারতীয় বাংলাদেশে পাড়ি দিচ্ছেন, এই খবরও তিনি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।ভারত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে প্রতিবেশীদেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতে নাগরিকত্বের সুযোগ করে দিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে হিন্দু সহ অন‍্য ধর্মীয় গোষ্ঠী গুলি এই সব দেশে নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

কিন্তু কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ লাগোয়া আসামে এই আইন লাগু করার পর দেখা গেছে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯লক্ষ মানুষ ,যার মধ‍্যে ১২ লক্ষ মানুষই হিন্দু। ঐ রাজ‍্যের অভিযোগ ছিল বাংলাদেশ থেকে বহু হিন্দু সেরাজ‍্যে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০.৭% হিন্দু।ফলে ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি দেবার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় নরেন্দ্র মোদিও তাঁকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, সিএএ সম্পূর্ণ ভাবেই ভারতের অভ‍্যন্তরীণ ব‍্যাপার ।
রোহিঙ্গা সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই সমস্যার সূত্রপাত যেহেতু মায়ানমারে, তাই তাদেরই এর সমাধান করতে হবে।প্রসঙ্গত নিপীড়নের শিকার হয়ে ১১ লক্ষের বেশী রোহিঙ্গা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।মানবিক কারণে তাদের ফেরানো যাচ্ছে না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।