রঘুনাথ ভট্টাচার্য:চিন্তন নিউজ:১৫ই অক্টোবর:–খবরে প্রকাশ, ‘ দি হিন্দু ‘ র জন্য লেখা একটি প্রবন্ধ উৎসুকজনের
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এটি লিখেছেন শ্রী পরকলা প্রভাকর। জানা যায়, তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের পি এইচ্ ডি। রাজনৈতিক- অর্থনীতিবিদ, নীতি-পরামর্শদাতা । অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের প্রাক্তন পরামর্শদাতা।
শ্রী প্রভাকরের মতে, মোদী সরকার অর্থনৈতিক মানচিত্রের দিশা হারিয়ে ফেলেছে। ভারতের অর্থনীতি বিষয়ক যে সমস্ত তথ্য আজ বিদ্বজ্জনের সীমা ছাড়িয়ে জনতার কাছে পৌঁছে গেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ছন্নছাড়া,সরকার তাকে সম্পূর্ণভাবে
অস্বীকার করে শুধু নয়, সেই সব প্রকট তথ্য চাপা দেওয়ার
ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার
জন্য দায়ী অসুখগুলো নিরাময় করার ফলপ্রসূ কোনো প্রচেষ্টা সম্পর্কে সরকার যারপরনাই উদাসীন।
ফলত,একের পর এক অর্থনৈতিক ক্ষেত্র ক্রমশঃ
বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
শ্রী প্রভাকর বলেন, ‘দলের( মনে হয় বিজেপির কথাই বলছেন) অর্থনীতির আদর্শ এবং সক্রিয়তা রাজনৈতিক ধ্যানধারণা বাহিত।দল নেহেরু-মডেলের সমালোচনা করেই তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলেরপথে হেঁটেছে।ফলে, দলের মত সব সময় নেতিবাচক হয়েছে, কখনও ইতিবাচক হয়নি।
শ্রী প্রভাকরের পরামর্শ, ভারতের এখন উচিত , শ্রী
নরসিংহ রাও সরকারের, ১৯৯১ এর কংগ্রেস সরকার অনুসৃত ( শ্রীমনমোহন সিং কৃত) অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপত্রই
অনুসরন করা । দেশের অর্থনীতির অসুস্থতা আরোগ্যের এটাই এখন উপযুক্ত উপায়।
শ্রী প্রভাকরের পরামর্শ দেশের জনগনের কৌতুহল বাড়িয়েছে আরও এই কারণেই যে চরম অসহিষ্ণুতাময় বাতাবরণে আচ্ছন্ন বর্তমান সময়ে , যখন পরিচ্ছন্ন বুদ্ধিজীবীদের নিগ্রহ স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে শুধু
নয় তাঁদের জীবনহানি পর্যন্ত হচ্ছে, তখন (দলের ভিতরেই?) এ ধরণের সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রকাশ করা সত্যিই প্রশংসনীয়।
উল্লেখ্য: শ্রী পরকলা প্রভাকর আমাদের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামনের স্বামী।বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে শ্রীপ্রভাকরের বক্তব্য লক্ষ্য করে বলেছেন ,” প্রত্যেকেরই অধিকার আছে তাঁর ব্যক্তিগতমতামত প্রকাশ করার।”এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া নড়ে চড়ে উঠেছে। অনেক ট্যুইটের মধ্যে একটি :” গৃহস্থ সমস্যার সমাধান করা সব সময়েই কঠিন কাজ।”আরেকটি : ” ……এখন ( মোদী সরকার) এঁকে কী বলবেন ! টাকদে টাকদে গ্যাং? তাঁকে এখন ওরা কোথায় পাঠাবেন ? পাকিস্তানে?,”