রাজ্য

আজীবন সংগ্ৰামী নেত্রী লক্ষী সেহগল এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা


সীমা বিশ্বাস, আসাম: চিন্তন নিউজ:২৩শে জুলাই:– আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝান্সী রাণী বাহিনীর সর্বাধিনায়িকা কেপ্টেন লক্ষ্মী সাইগলের নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মর্মে সমগ্র দেশব্যাপী ছাত্র যুব সংগঠনের উদ্যোগে— ‘জিনে কা অধিকার চাহিয়ে’–রোজী রোটী শিক্ষা স্বাস্থ্যের দাবীতে স্মৃতিচারণ দিবস পালন করা হয়। সমগ্র দেশের সঙ্গে নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির অসম রাজ্য কমিটি ছাত্র যুব সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সাইগলের ২৩জুলাই মৃত্যু দিবসে স্মৃতিচারণ সভা অনলাইন যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জেলায় জেলায় মহিলা সমিতির জেলা কমিটির উদ্যোগে লক্ষ্মী সাইগলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর বর্ণিল জীবনের উপর আলোকপাত করেন নেতৃবৃন্দ। ‌‌

রাজ্য কমিটির অনুষ্ঠিত সভায় যুব সংগঠনের নেতা নয়ন ভূঁইয়া, ছাত্র সংগঠনের রাজ্য নেত্রী সঙ্গীতা দাস, মহিলা সমিতির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নেত্রী মাধুরী দেবী কেপ্টেইন লক্ষ্মী সাইগলের সংগ্ৰামী জীবনের অধ্যায়ের উপর আলোকপাত করেন। ২০১২সনে ৯৮ বছর বয়সে উনার দেহাবসান হয়। মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সন্মেলনে উপস্থিত থেকে পতাকা উত্তোলন করে তিনি বলেছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তি সংগ্রামে অবতীর্ণ থাকবেন। উনার এই মহান উক্তি সকলকে অনুপ্রাণিত করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্ৰাম থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যখন হাজার হাজার মানুষ পশ্চিমবঙ্গের আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তখন সেই সময়ে মুখ‌্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি বামপন্থীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি প্রক্ষেপিত প্রার্থী এপিজি আব্দুল কালামের বিরুদ্ধে। তিনি পদ্মবিভূষণ সন্মানে সন্মানিত হয়েছিলেন। অসমের গুয়াহাটিতে আয়োজিত উত্তর পূর্বাঞ্চলের মহিলা কনভেনশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। আজীবন সংগ্ৰামী নেত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।