জেলা

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার জি ডি বিড়লা সহ মোট পাঁচটি বিদ্যালয়


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৮ই এপ্রিল:– করোনা মহামারী আপাতত কাটিয়ে সবে শহর ও শহরতলীর বিদ্যালয় গুলো খুলছিল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ আচমকা বিনা মেঘে বজ্রপাত। শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য জি ডি বিড়লা সহ মোট পাঁচ টি বিদ্যালয় এর গেটে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় দেড় থেকে দুবছর কোভিড এর জন্য বিদ‌্যালয় বন্ধ ছিল । এই দীর্ঘ সময় শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী রা তাঁদের প্রাপ্য বেতন পাননি। তাছাড়া বেশ কিছু শিক্ষকদের চাকরি চলে গিয়েছে। বিদ্যালয় খোলার পর মাত্র একদিন তাঁরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। অভিভাবকরাও জানিয়েছেন যে ৯৫ শতাংশ বিদ্যালয় এর বেতন ও অন্যান্য খরচ মিটিয়েছেন । তবু বাচ্চা দের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার সকাল ছ’ টা নাগাদ বিদ্যালয় এর পৌঁছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দেখেন যে বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ —– এমন নোটিশ ঝুলিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিভাবক রা উদ্দিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যতে র কথা ভেবে। শুধু জি ডি বিড়লাই নয় শহরের বিভিন্ন এলাকার আরও কিছু বিদ্যালয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। করোনা কালে বেশ কয়েকবার স্কুলের ফী সহ আরও বেশ কিছু খাতে টাকা বাড়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিন অভিভাবক রা বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান কিন্তু পরে তাঁরা বিদ্যালয় এর টাকা-পয়সা মিটিয়ে দেন। তবু এই কয়েক টি বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের কথা না ভেবে বিদ্যালয় এর গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় দশ হাজার ছাত্র-ছাত্রী র ভবিষ্যত। দক্ষিণ কলকাতার রানী কুঠি বিদ্যালয় এর গেটে ঠিক একইভাবে বিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ ঝোলানো হয়েছে।

এর আগে আদালত ছাত্র-ছাত্রীদের ফি বিষয়ক ব্যাবস্থা নিয়ে রায় দেয় যে কোন ছাত্র-ছাত্রী যেন বেতন এর ব্যাপারে বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত না করা হয়। কিন্তু আজ সেটিই হলো। বিচার ব্যবস্থা কে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বিদ্যালয় গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করলো। এমন অমানবিক ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটলো অথচ প্রশাসন মৌনব্রত নিয়েছে। এই ঘটনার পর মানুষের আর না বোঝার আর কোন কারণ নেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।