প্রতিবেদন:-ডা:স্বপ্না চট্টরাজ: চিন্তন নিউজ:১০ই এপ্রিল:– আসানসোল, ১০/০৪/২২-জার্মানির বিজ্ঞানী ডা:ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কারক। তাঁর জন্মদিনের দিনটিকেই ২০০৩সাল থেকে “বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস’ হিসাবে পালন করা হচ্ছে। এ বছরের থিম” হোমিওপ্যাথি সুস্থতার জন্য মানুষের পছন্দ “।
হ্যানিম্যান অনুবাদক ছিলেন। উইলিয়াম কুলেন রচিত” এ ট্রিট্রিজ অন দ্য মেটেরিয়া মেডিকা(A treatise of Materia Medica) বইটি অনুবাদ করার সময় হ্যানিম্যান পেরুভিয়ান বার্ক থেকে ম্যালেরিয়া জ্বরের প্রতিষেধক হিসাবে “সিঙ্কোনা(Cinchona) গাছের ছালের কার্যকারিতা দেখতে পান। এই সিঙ্কোনা গাছের ছালের গুনাগুন এর প্রভাব মানুষের উপর কতটা পরে তা দেখার জন্য নিজের দেহে পরীক্ষা করলেন এবং দেখলেন ম্যালেরিয়ার মতো তাঁর শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসেছে । আর এরকম লক্ষন যে কোনো সুস্থ মানুষের দেহেও সক্ষম। এই পরীক্ষা থেকে তিনি সিদ্ধান্তে এলেন” যে উপাদান একজন সুস্থ ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করলে একটি উপসর্গ সৃষ্টি করে তা একই রকম উপসর্গ সমৃদ্ধ অসুস্থ দেহে প্রয়োগ করলে রোগ নিরাময় করতে সক্ষম হবে”। Like Cures Like -যা একটি নতুন ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির জন্ম দেয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতির তিনি নাম দেন “হোমিওপ্যাথি”। এই পদ্ধতির চিকিৎসা খরচ খুব কম বলে ধনী দরিদ্র সকলেই এর আয়তাধীন হতে পারে। সারা পৃথিবী জুড়ে এর খ্যাতি ছড়িয়ে পরেছে।
ভারতে প্রথম স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হলেন ডা:মহেন্দ্রনাথ সরকার। তিনি ভারতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে জনপ্রিয় করেছিলেন। বর্তমানে আয়ুষ(AYUSH) ভারত সরকার এর স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুনির্দিষ্ট গবেষণা, উৎপাদন ও উৎপাদিত ওষুধের মানোন্নয়ন এবং হোমিওপ্যাথি কলেজ গুলিতে উচ্চ মানের শিক্ষার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে। এই দিবস উদযাপন এর মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সচেতনতা তৈরি করা নয়, এটি আরও মানুষের কাছে সহজলভ্য করে তোলাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বাস করে যে বিকল্প ও ঐতিহ্যবাহী ওষুধের প্রচার ছাড়া সার্বজনীন স্বাস্থ্যের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি একটি বিশেষ স্হান পেয়েছে। এই দিবস’ উপলক্ষে স্বাস্থ্য শিবির, সচেতনতা মূলক পোষ্টার, ইনস্ট্রাগ্রাম ক্যাপশন সারা বিশ্ব জুড়ে করা হচ্ছে। ভারতে আয়ুষ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে নয়াদিল্লিতে দুদিন ব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের তিনটি শীর্ষ সংস্থা সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি, ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG_20220410_164930-1080x642.jpg)