দেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

একনিষ্ঠতা সাফল্য নিয়ে আসে।


মীরা দাস : চিন্তন নিউজ :১৭ই জুলাই :-এই স্বপ্ন পুরনের নায়ক জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপত্তা রক্ষী রামজল মীনা। রাজস্থানের করৌলীর বছর চৌত্রিশের বাসিন্দা নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে কাজ করেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু এই পরিচয় এখন গৌণ। এবছর রীতিমতো প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হয়ে রাশিয়ান বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন মীনা। তিনি বলেছেন ” জে এন ইউ ” তো শিক্ষার ক্ষেত্রে সামাজিক বৈষম্যে বিশ্বাসী নয়। ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা খুব উৎসাহ , সাহস দিয়েছেন মীনাকে। বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেন তাঁরা যেমন দৈনন্দিন নোটস্ ,বই ইত্যাদি তাঁরা যোগান দিয়ে থাকেন।
মীনা রাজস্থানের ভাজেরা গ্রামের একজন দিন মজুরের ছেলে ,অভাব অনটনের জেরে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল ,কিন্তু তাঁর অদম্য জেদ ছিল ,তাই তিনি হাল ছাড়েন নি ।খুব অভাবের সাথে তাঁকে সংসার জীবন কাটাতে হ’চ্ছিল ,এরই মাঝে তিনি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ পেতেই তাঁর জীবন টা পাল্টে যায়। শিক্ষার অদম্য জেদ ঠেলে নিয়ে যায় ,এবং নিজের উদ্যোগে বই ,খাতা সংগ্রহ করে পড়া শুরু করে দেন। তিনি তাঁর বাবার সাথে কাজের ফাঁকে মন দিয়েছিলেন ,রাষ্ট্রবিজ্ঞান ,ইতিহাস ,হিন্দি,এই তিনটি বিষয় নিয়ে রাজস্থথান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। এই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে রুশ ভাষা শিখতে লাগলেন ।সম্পুর্ন নিজের উদ্যোগে তিনি পড়াশুনা করেন । তারপরের ঘটনা ইতিহাস ।জে .এন .ইউ র রেকর্ডে ও সম্ভবত এই প্রথম একজন ছাত্র ভরতি হলেন।
তাঁর এই সাফল্যে ভাইস চ্যান্সেলর এম.জগদীশ কুমার বলছেন আমরা সবসময় অন্য ধরনের সামাজিক অবস্হান থেকে উঠে আসা ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিই ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ টা সত্যি এ ভাবে বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে প্রবেশ করা অনেকের কাছেই এখন অনুপ্রেরণা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।