রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ: ৪ঠা জানুয়ারি :–আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবরে প্রকাশ, গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে এক মার্কিনী বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের প্রধান ও ইরানে সামরিক ক্ষমতার দ্বিতীয় ক্ষমতাসীন ব্যক্তিত্ব জেনারেল কাশেম সোলেমানি এবং ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনী পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেস-এর উপপ্রধান আবু মহদি আল- মুহান্দিস সহ আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়।পেন্টাগন
জানায়, মার্কিনী প্রেসিডেন্টের নির্দেশক্রমেই এই অভিযান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনী প্রতিবাদে ‘ভয়ঙ্কর হামলার’সতর্কতা জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে তিনি আরও বলেন, ‘ যে অপরাধীদের হাত সোলেইমানির রক্তে লাল হল,তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই বদলা নেওয়া হবে। এই আক্রমণ ইরানে জেহাদ আরও বাড়িয়ে দেবে।’
জেনারেল সোলেমানি আইসিসের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের দাবি , এই ঘটনা স্বাগত জানিয়েছে ইরাকের সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে খবরে প্রকাশ, ইরাকের সংসদের স্পিকার আল-হালবৌশি এক বিবৃতিতে জানান , এই আক্রমণকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন হিসাবেই দেখা হবে।
আন্তর্জাতিক তথ্যভিজ্ঞ মহল এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের এক চিত্র হিসাবে উল্লেখ করে জানিয়েছে, এই ঘটনা এক বিপন্নতর বিশ্বের ইঙ্গিত বহন করে।রাষ্টসঙ্ঘ আরেকটি ‘ উপসাগরীয় যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে , এই ব্যাপক অশান্তির সম্ভাবনা মেনে নেওয়ার মতো সামর্থ্য বর্তমান বিশ্বের নেই।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেদের সমর্থনে বলেন, আত্মরক্ষার জন্যই এই আমেরিকা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে
বলা হচ্ছে, বাগদাদে মার্কিনীএম্বাসিতে সাম্প্রতিক হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ।
এই ঘটনাকে অনেক সুত্রেই দেখা হচ্ছে ‘ আন্তর্জাতিক
সন্ত্রাসবাদ’ হিসাবে যা বিশ্বের নানা দেশেই স্বাগত নয়।সংবাদ এই যে, রাশিয়া মৃত জেনারেলের প্রশংসা করে জানাচ্ছে , যেএটা আমেরিকার এক হঠকারী পদক্ষেপ।এর ফলে সমস্ত দেশেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। চীন বলেছে, আন্তর্জাতিক স্বার্থের কল্যানে তাঁরা সামরিক শক্তিকে সংযত রাখার পক্ষে।অন্যদিকে ব্রিটেনের মতে, বিশ্বশক্তিগুলির প্রত্যেকেরইদায়িত্ব আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখা সম্পর্কে সযত্ন থাকা, যদিও তারা বরাবরই সোলেমানির কুর্দ বাহিনীর
কার্য্যকলাপ আগ্রাসনের হুমকি হিসাবেই গণ্য করে এসেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেন মন্তব্য করেছেন যেকোনো মূল্যেই বিশ্বে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা
এড়িয়ে যাওয়া উচিত। প্যালেস্তাইনের হামাশ এক শোকবার্তায় বলেছে সোলেইমানির অকস্মাৎ মৃত্যু
দুর্ভাগ্যজনক। ওদিকে ইজরাইল জানায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায্য সংগ্রামএর পাশে পাশে সর্বদাই দাঁড়াবে
ইজরায়েল। ফরাসি বিদেশমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, বিশ্বের বিপজ্জনক স্থিতি আরও বেড়ে গেল।