কলমের খোঁচা

বিশ্ব আ‍্যলজাইমার্স দিবস


কলমে কৃষ্ণা সাবুই: চিন্তন নিউজ:২১/০৯/২০২২:– আ‍্যালজাইমার্স এমন একটি রোগ যা মানুষের স্মৃতি নষ্ট করে দেয়। রোগী তো বটেই পরিবারের মানুষজন অসহায় হোয়ে পড়ে এই মানুষটিকে নিয়ে।
কারন সে কোন কথা মনে করতে পারে না।কার সঙ্গে কি সম্পর্ক সব ভুলে গেছে।আন্তরিক ভাবে ভাবলে উভয়পক্ষের খুব ব‍্যথাতুর ব‍্যাপারটা।
এই রোগটিকে প্রথম চিহ্নিত করেন এক জার্মানি মনোবিদ। তাঁর কাছে এক মহিলা আসেন বয়স পঞ্চাশের উর্দ্ধে। তাঁর নাম ছিলো Alois Alzhemer তাঁর নামানুসারে রোগটির নাম করন হয়।

মনে করা হয় সারা বিশ্বে ডিমনেশিয়ার সবচেয়ে সাধারন কারন হোলো বয়স্কদের আ‍্যালজাইমারের সাধারন কারন গুলি এড়িয়ে যাওয়া। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষনগুলি র মধ‍্যে আক্রান্ত ব‍্যক্তির স্মৃতিশক্তি লোপ, আচরন বদল,সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অক্ষমতা। চিকিৎসকের মতে স্নায়ুর অবক্ষয়ের কারনে এই রোগ হয়।

এই রোগ বিষয়ে ব‍্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে ১৯৮৪সালে হয় ‘আ‍্যালজাইমার্স ডিজিজ ইন্টারন‍্যাশানাল’ এই প্রতিষ্ঠানের ১০বছর পূর্তিতে ১৯৯৪সালে বিশ্ব আ‍্যালজাইমার্স দিবসের সুচনা করে এবং উদ্ যাপনের জন‍্য ২১ সেপ্টেম্বর দিনটি স্থির হয়।সেই থেকে প্রতিবছর দিনটি পালিত হয়।

যে কোন রোগ হলে রোগী এবং পরিবার দুজনের সহায়তায় রোগ সারতে পারে। এ ব্যাপারে আসল ভুমিকা নেন চিকিৎসক। কিন্তু আ‍্যালজাইমার রোগের ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক যোগাযোগ সম্ভব নয়।
পাশাপাশি জীবনযাত্রা পরিবেশ দুষনজনিত ব‍্যাপারে এই রোগের আরো বাড় বাড়ন্ত হয়। অনেক সময় মাথায় আঘাত পেলেও আ‍্যালজাইমার হতে পারে।অনেক সময় বংশগত কারণেও হয়।

তাই পরিবারের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাকে সঠিক ভাবে যত্ন করা, ওষুধ খাওয়ানো খুব প্রয়োজন। তার সঙ্গে মানবিক ব‍্যবহার একান্ত প্রয়োজন।তাকে একা রাখা যাবেনা। অতীত স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করে তাকে মনে করানোর চেষ্টা করতে হবে। সে সহায়তা করছে না এটা ভাবলে চলবে না। এই রোগী কে বিরক্তি ভাব বা কোন ভাবে শারিরীক মানসিক নিগ্রহ করলে রোগীর ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই চিকিৎসকের নির্দেশ এবং মানবিকতা রোগীকে বাঁচিয়ে রাখবে। বিশ্ব জুড়ে সব আ‍্যলজাইমার আক্রান্ত রোগীদের ভালোবাসবো তাদের ভালোরাখার জন‍্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করবো এটাই হোক ২১ সেপ্টেম্বরের অঙ্গীকার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।