নিজস্ব প্রতিবেদনে দেবু রায়: চিন্তন নিউজ:৩রা জানুয়ারি:– হাসপাতালে জীবনদায়ী অ্যান্টিবায়োটিক মেরোপেনেম, পাইপেরাসিলিন ট্যাজোব্যাক্টাম, ইঞ্জেকশন লিনেজলিড ইত্যাদি- নেষ হাসপাতালে প্রতিটি আই সি ইউ-তে প্রশিক্ষিত নার্স ও টেকনোলজিস্ট- নেই। হাসপাতালে ডাক্তার- আছে।
হাসপাতালে নেবুলাইজেশন মাস্ক – নেই।
হাসপাতালে ডাক্তার- আছে। তবুও, ডাক্তাররা নিজের ন্যায্য দাবিতে স্ট্রাইক করলে তখনি ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত’ হয়। আর দিনের পর দিন পেশেন্টকে হাজার হাজার টাকার ওষুধ ও ইক্যুইপমেন্ট কেনাতে বললে তা বিপর্যস্ত হয় না।
এছাড়া, আরো কিছু৷
হাসপাতালে সাধারণ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বেড- নেই। তৃণমূলের চুনোপুঁটি থেকে রাঘব-বোয়াল নেতাদের ক্যাচ পেশেন্টের জন্য বেড- আছে।
হাসপাতালে ন্যূনতম বমির ওষুধ (অন্ডানসেট্রন) ইঞ্জেকশন – নেই। হাসপাতালে বিশাল ঝাঁ-চকচকে তোরণ- আছে। হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা ও সম্মান- নেই। হাসপাতালে মূখ্যমন্ত্রীর হাসিমুখের অসংখ্য ছবি- আছে।
এবং পুনশ্চ-
এই পরিহাস বুঝতে পারার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন, স্কুল-কলেজ খোলা রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা – নেই।
এই ব্যবস্থার অন্তঃসারশূন্যতা ভুলে থাকার জন্য পানশালা ও শপিং মলে বিচরণের অবাধ সুযোগ- আছে।।
এই হলো আমাদের বহুল প্রচারিত এক অন্তর সার শুন্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা! একটা কথা বলে রাখি, যে ঔষধ গুলোর কথা বলা হয়েছে, সেই প্রত্যেক টি হলো লাইভ সেভিং ড্রাগ অর্থাত জীবন দায়ী, ঔষধ কোম্পানি গুলি ওই গুলো বিভিন্ন brand এর নাম দিয়ে বিক্রি করে ! এই ঔষধ গুলো প্রত্যেকটাই কিন্তু দামি!সাধারণ গরিব মানুষেরা পক্ষ্যে বাজার থেকে কিনে টার রুগী কে বাঁচাতে গেলে হয়তো ঘটি – বাটি বিক্রি করতে হতে পারে।