মিঠু রায়: নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ: ০৬/০৬/২০২৩:– দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে যারা সফর করেন,তাদের মাঝে রয়েছে এক বিশিষ্ট শ্রেনীর মানুষ! তাদের দেখা মেলে ট্রেনের টিকিট আছে জেনারেলে কিন্তু উঠে পরে রিজার্ভেশন কামরায়। একবার এ প্রান্তে তো একসময় বাথরুমের মুখে আবার কখনো বা ট্রেনের গেটের মুখে। তাদের গন্তব্য হয়তো ট্রেন সফরের শুরু থেকে হয়তো বা শেষ প্রান্তে…. হ্যাঁ এরা কারা!!
আমরা যারা টিকিট করেন এ সি বা রিজার্ভেশনে নিজের আধিপত্য করা শিটটিতে এঁটেসেঁটে শুয়ে বসে চলেন কিন্তু একবারও ভাবেন না ঐ বিশিষ্ট মানুষ গুলোর কথা যারা পেটের দায়ে চলছে কোনো ভীন রাজ্যে নিজের গতর খাটাতে।
এদের সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টি ও চেতনার রয়েছে মরণ মিছিলের সেই কোভিড,আর এই কোভিডেই নিজের ঘরের উদ্দেশ্য রওনা হওয়া অনেকেরই মৃত্যু এবং এরই মধ্যে মর্মান্তিক সেই মৃত্যু যাদের পেটে খিদে ও ক্লান্তি নিয়ে শুয়ে ছিলো রেললাইনেই পাটাতনে শান্তির ঘুম ঘুমাতে কিন্তু ঘুমে ঢোলে পরা অনেক গুলো প্রান শেষে চিরতরের ঘুমে।তাদের নাম রাখা হয়েছিলো পরিযায়ী শ্রমিক।
একবার না এদের বার বার মরতে হয় আমরা কি সেটা জানি ! না জানিনা। যেমন – কখনো মরতে হয় মালিকের গোলাম হয়ে,
নয়তো বা কঠিন কোনো রোগে আবার কখনও বা বিপদ মুখি কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে।
এই তো তাদের জীবন !
এক্ষেত্রেও কিন্তু একই সেই ঝড়। তাদের মৃত্যুতে নেই কারো দায়। তারা যে হিসাবের বাইরে, বাড়ির মা বা স্ত্রী বসে রয়েছে একটা খবরের আশায় যে তাদের ঘরের ছেলেটা বেঁচে আছে তো?
এদিকে উপর মহলের অর্ডার হয়েছে তল্লাশি অভিযান সমাপ্ত।এরিয়াতে কোনো প্রেস মিডিয়া প্রবেশ নিষেধ এবং ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেছে সরকার।
তবে এরা কারা! কার দায় এই প্রাণগুলোর জীবন মরণ সুনিশ্চিত করা, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণে সাহায্য করা।
আমরা সকলেই জানি আমাদের সমাজ কৃষক,শ্রমিক,মুচিমেথর, ইত্যাদিরা না থাকলে আমাদের সমাজ অচল।তবে তাদের প্রতি অন্যায়ে কেন গর্জে ওঠেনা সমাজের মানুষ?
আমরা বলবো না ত্তরা কারা!আমরা বলবো ওরাই তারা যারা আমাদের সমাজের সমাজবন্ধু।