সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৯শে মার্চ:-কয়েকমাস ধরে সারা বিশ্বের কাছে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।। চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এর নাম গোটা বিশ্ব জেনে গেছে।নোভেল করোনা ভাইরাস ভারতেও থাবা বসিয়েছে।।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নামকরণ করেছে”কোভিড_১৯””।
কিন্তু এই ভাইরাস কি??? ভাইরাস একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কনা বা অনুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরে বংশবিস্তার করতে পারে।।এরা অকোষীয়। ভাইরাসকে জীব হিসেবে বিবেচনা করা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে দ্বিমত আছে।। ভাইরাস প্রানী ও উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য যেমন দায়ী তেমন কিছু ভাইরাস আবার ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করতে পারে, তাদের বলে ব্যাকটিরিওফাজ। ভাইরাস শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ থেকে যার অর্থ_বিষ।
মানব রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভাইরাস প্রথম আবিস্কার হয়নি।। গাছের রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে গবেষকরা ভাইরাসের অস্তিত্ব টের পান।। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তামাক গাছের একপ্রকার রোগ নিয়ে গবেষণা চলছিল ইউরোপে। সেই সময় রোগটি বান্ট,রাষ্ট বাস্মাট নামে পরিচিত ছিল।। হল্যান্ডের গবেষক এডলফ মেরার এই রোগের নামকরণ করেন””টোবাকো মোজাইক ডিজিজ”” । তাঁর ধারণা ছিল কোনো ব্যাকটেরিয়া এই রোগের কারণ।।
এই শতাব্দীর শেষ দিকে রাশিয়ান গবেষক দিমিত্রি ইভানোভস্কি তামাক গাছের মোজাইক রোগ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।। রোগাক্রান্ত পাতার রস তিনি ব্যাকটেরিয়া নাশক দিয়ে শোধন করে দেখেন যে ওই রোগ সুস্থ গাছে রোগ বিস্তারে সক্ষম।। তখন তিনি এই সিদ্ধান্ত উপনীত হন যে এই রোগের জন্য ব্যাকটেরিয়া নিঃসৃত কোন বিষাক্ত পদার্থ দায়ী।।এমন এক দোলাচলের সময় হল্যান্ডের আর এক গবেষক মার্টিনাস বাইজেরেনিক ফের মেয়র এর গবেষনা নিয়ে কাজ শুরু করেন।। তিনি অনুমান করেন এই রোগের নেপথ্যে রয়েছে এক প্রকার সংক্রমণ এ সক্ষম এক জীবন্ত তরল।।যার নাম তিনি দেন __ভাইরাস।।এর চারদশক পর মার্কিন গবেষক ডব্লু এম স্ট্যানলি তামাক পাতার ভাইরাসকে পৃথক করে দেখান এর রূপ তরল নয়, কেলাসাকার।। এর জন্য পরবর্তী কালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।।
একই ভাবে “”ফুট অ্যান্ড মাউথ”” ডিজিজ এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রানী ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছিলেন ফ্রেডরিক লোফলার ও পর ফ্রশ।।।