অনুপম মিশ্র: চিন্তন নিউজ:১৯শে মার্চ:–মুর্শিদাবাদ জেলা এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ একযোগে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দেয়।
তাদের দাবিগুলো
প্রতিটি ব্লকে একটি করে আইশোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যোগান রাখতে হবে।
করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে সরকারি উদ্যোগে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার এর কালোবাজারি রুখতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিক সহ সব পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার সরকার থেকে বিলি করতে হবে।
করোনা ‘ভাইরাস ঘিরে চারিদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই সুযোগে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আরও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে। তাই এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মূল উদ্দেশ্য জন সচেতনতা বাড়ানো।
প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদ জেলার অনেক প্রান্তিক মানুষ কাজের জন্য বাইরে যান। তাদের মধ্যে যারা দেশে ফিরবেন তাদের বিধিসম্মত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আইশোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাদের আরও দাবি ,উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও মাস্ক সরকার থেকে যোগান দিতে হবে। করোনা কে কেন্দ্র করে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার এর কালোবাজারি শুরু হয়ে গেছে। সেই কালোবাজারি রুখতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যা বললেন, করোনা আক্রান্ত মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নূন্যতম ব্যবস্থা জেলা হাসপাতালেও নেই। যেখানে ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও প্রাথমিক আইশোলেশন ব্যবস্থা থাকা উচিৎ, সেখানে জেলায় কোথাও এই ব্যবস্থা নেই। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী যেখানে প্রচার করেন প্রতিটি মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি, সবরকম চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যাবে।সেখানে জেলা হাসপাতালেও আইশোলেশনের পরিকাঠামো নেই।