রাজ্য

প্রভাত পট্টনায়কের সেমিনারে ‘না’ বিশ্বভারতীর


রণদ্বীপ মিত্র, চিন্তন নিউজ, ১৮ ফেব্রুয়ারি: বিজেপি সাংসদের সিএএ নিয়ে বক্তৃতায় আপত্তি নেই। তবে আপত্তি আছে বেকারত্বের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়কের ভাষনে! এমনটাই হয়েছে। যা ঘিরে ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী। এবার প্রভাত পট্টনায়েকের ভাষনে ‘না’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের! আগামী ১২ মার্চ বিশ্বভারতীতে ভাষন দিতে আসার কথা ছিল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর প্রভাত পট্টনায়কের। তার ভাষনের বিষয় ছিল দেশের বেকারত্ব।

প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ন। এমন অবস্থায়, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দেশ এসেছে আপাতত এই ভাষনের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার। জানিয়েছেন উদ্যোক্তাদের অন্যতম এক অধ্যাপকই। ওই অধ্যাপকের কথায়, ‘‘কোনো লিখিত নির্দেশ নয়। ফোন মারফত উপরতলা থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই পরিকল্পিত ভাবনা থেকেই এমনটা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’’ ঘটনা ঘিরে অবশ্যই ছড়িয়েছে ক্ষোভ।

গত বছর থেকে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে অশোক রুদ্র মেমোরিয়াল বক্তৃতা। ইউজিসি-র অর্থানুকূল্যে হওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদানের এই অনুষ্ঠানের এবার দ্বিতীয় বর্ষে পা দেওয়ার কথা। অর্থনীতি বিভাগের বোর্ড অব স্টাডিজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আগামী ১২ মার্চ হবে দ্বিতীয় অশোক রুদ্র মেমোরিয়াল বক্তৃতা। বক্তা হিসাবে ঠিক হয়েছিল প্রভাত পট্টনায়েকের নাম।

সোমবার ছিল বোর্ড অব স্টাডিজের সভা। সূত্র মারফত জানা গেছে, সেই সভার কার্যবিবরনীতে এদিন লিপিবদ্ধ হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থগিত রাখতে হচ্ছে এই ভাষন। তবে এও উল্লেখিত হয়েছে যে পরবর্তী দিন স্থির করার আবেদন জানানো হবে কর্তৃপক্ষের কাছে। যাতে শীঘ্রই কোনো একটা দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। কারন ইউজিসি থেকে পাওয়া আর্থিক সাহায্যে সেমিনার করার শেষ দিন ৩১ মার্চ। তার মধ্যে না করতে পারলে ফেরত যাবে টাকা।

শুধু টাকা ফেরত নয়, দেশের জ্বলন্ত সমস্যা বেকারত্ব নিয়ে প্রথিতযশা অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়কের মূল্যবান ভাষন থেকেও বঞ্চিত হবেন সকলে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন কৌশল করে ভাষন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে? কোনো উত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের তরফে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।